বিচার পাওয়া ভিক্ষা নয় নৈতিক অধিকার
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা ও গণফোরামের চেয়ারম্যান ড. কামাল হোসেন বলেছেন, বিচার ভিক্ষা চাওয়ার বিষয় নয়- এটা আমাদের নৈতিক অধিকার। অনেক সময় আমরা গুমের ভয়ে চুপ করে থাকতাম। কিন্তু এখন আর চুপ করে থাকব না। চন্দন সরকার জীবন দিয়ে আমাদের জাগ্রত করে গেছেন।
সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে অপহরণের পর খুনের শিকার সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকারের স্মরণ ও প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন এসব কথা বলেন।
এ সময় আইনজীবীদের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারের পরিবারকে ২ লাখ টাকার চেক দেয়া হয়।
এদিকে সকাল থেকেই আদালত বর্জন করেছেন আইনজীবীরা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।
ড. কামাল হোসেন বলেন, চন্দন সরকারসহ সাত হত্যাকাণ্ড এখন আর শুধু নারাণগঞ্জের বিষয় না। এটা সারা বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের বিষয়। আমাদের এ প্রতিবাদ প্রতিটি স্তরে ছড়িয়ে দেয়া হবে। বিচারের জন্য আমরা ২৫-৩০ বছর অপেক্ষা করতে পারব না।
আইনজীবীদের উদ্দেশে ড. কামাল হোসেন বলেন, কালো কোট পরেছেন, কোনো ঘুষখোরের কাছে মাথানত না করে মৌলিকভাবে কাজ করুন। যদি আইনজীবীদের মাঝে ঐক্য না থাকে তাহলে কালো কোট ছিঁড়ে ফেলুন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু, অ্যাডভোকেট আবদুল বারি ভূঁইয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ ভূঁইয়া ভাসানী, অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান শাহীন, অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন, অ্যাডভোকেট হুমায়ন কবির প্রমুখ।
সমাবেশ থেকে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কালোব্যাচ ধারণ, প্রতিদিন দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অনশন পালন করা হবে।