নূর হোসেনের অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ অপহরণের পর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাত হত্যাকাণ্ডের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনসহ তার অনুসারীদের ১১টি অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করেছে জেলা প্রশাসন।
নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদুল ইসলামের আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান মিয়া অস্ত্রের এ লাইসেন্স বাতিল করেন।
এর আগে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নূর হোসেনের অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করার আবেদন করেন নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম।
তিনি ১০ জনের ১২টি অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের দাবি করেন। এদের মধ্যে রয়েছেন নূর হোসেন, ২২ বোর রাইফেল, লাইসেন্স নং ১২২/১২, এনপিবি পিস্তল, লাইসেন্স নং ২৮৫/১৩। শাহজালাল, শটগান নং-৬০৩২৫৫৯/৩০৩৬২৫২, এনপিবি পিস্তল, লাইসেন্স নম্বর ৩০০/১৩। মো. শাহজাহান, শটগান, লাইসেন্স নম্বর ৫১৭/১৩। জামাল উদ্দিন, শটগান, লাইসেন্স নম্বর ৫১৮/১৩। মো. নুরুউদ্দিন মিয়া, শটগান, লাইসেন্স নম্বর ৫২৮/১৩। আলী মোহাম্মদ, শটগান, লাইসেন্স নম্বর ৫৩২/১৩। মো. সানাউল্লাহ, শটগান, লাইসেন্স নম্বর ৫৩৩/১৩। মো. আরিফুল হক হাসান, এনপিবি রিভলবার, লাইসেন্স নম্বর ১৬৬/১৩। শটগান, লাইসেন্স নম্বর ৫১১/১৩।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন জানান, নূর হোসেনের অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের ব্যাপারে আমরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রতিবেদন পাঠিয়েছিলাম। সোমবার তাদের সবার লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে, রোববার সিদ্ধিরগঞ্জে শিমরাইল মোড়ে নূর হোসেনের আস্তানা খ্যাত ট্রাক স্ট্যান্ডে অভিযান চালিয়ে জিএম গ্লাস নামে একটি গ্লাস কারখানার ভেতরে থেকে নূর হোসেনের ব্যবহৃত প্রাইভেটকার উদ্ধার করে পুলিশ।
এছাড়া শনিবার শিমরাইলের টেকপাড়ায় নূর হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় সেখান থেকে ১০-১২ জনকে আটক ও একটি রক্তমাখা মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। জব্দ করা হয় আইনজীবী চন্দন সরকারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও।
খুন, গুম আর অপহরণের ডেঞ্জার জোন হয়ে ওঠা নারায়ণগঞ্জের ডেঞ্জার ম্যান নূর হোসেন প্যানেল মেয়র অপহরণের পর থেকেই পলাতক রয়েছেন। এখন পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ পায়নি পুলিশ, র্যাব বা গোয়েন্দারা। তাকে গ্রেফতারে সীমান্তে জারি করা হয়েছে রেড এলার্ট।