তিন ঘণ্টা পর খুলেছে ঢামেকের জরুরি বিভাগ
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বিকাল সাড়ে ৪টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) জরুরি বিভাগ খুলে দেয়া হয়েছে। দুপুর সোয়া একটার দিকে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে জরুরি বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার বিকাল সোয়া চারটায় ঢামেকের পরিচালক হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের জানান দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের মধ্যে বৈঠকের পর আমরা জরুরি বিভাগ খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখনই জরুরি বিভাগ খুলে দেয়া হবে। সবাই কাজ শুরু করবেন।
সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও সাংবাদিকদের ভেতরে প্রবেশে বাধা দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে পরিচালক বলেন, বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে বসে কথা বলবো। ভেতরে প্রবেশ করার বিষয়ে তিনি বলেন, এতক্ষণ গেট বন্ধ ছিল কাউকেই ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
এর আগে ঢামেকের জরুরি বিভাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রলীগ নেতার সমর্থকরা ভাঙচুর চালায়। এতে চিকিৎসা, রোগী দেখাসহ সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সরা।
সকালে লিফটে ওঠাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত হয়। এরপর তিনবার হাসপাতালে হামলার ঘটনা ঘটে।
এদিকে ভাংচুরের ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয় ইন্টার্নি ডাক্তাররা। সংবাদকর্মীদের হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। হাসপাতালের প্রধান গেট বন্ধ করে রাখা হয়েছিলো।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শহীদুল্লাহ হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিরাজের মা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাকে দেখতে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জসিম ও আশিকুল নামে দুজন হাসপাতালে যান। তারা হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্টাফদের লিফটে ওঠেন। এ নিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় তাদের দুজনকে মারপিট করেন চিকিৎসকরা। এতে জসিমের মাথা ও ঠোঁট কেটে যায়। পিঠে গুরুতর আঘাত পান আশিকুল। তাদেরকে হাসপাতালের ক্যাজুয়াল্টি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
এই ঘটনার জের ধরে দুপুর সোয়া ১টার দিকে মিরাজের সমর্থক শহীদুল্লাহ হলের ২০-২৫ জন ছাত্রলীগ কর্মী লাঠি ও রড নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে হামলা চালায়। তারা জরুরি বিভাগের জানালার গ্লাস ভেঙে চলে যায়। এসময় আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের স্বজনরা।
ক্যামেরা নিয়ে ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের মারতে আসেন ইন্টার্নি চিকিৎসকরা। তারা লাঠিসোটা হাতে নিয়ে সাংবাদিকদের গেট থেকে তাড়িয়ে দেন। এ ঘটনায় প্রায় তিন ঘন্টা জরুরি বিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকে।