ওদের কাজ অপহরণকারীদের অস্ত্র সরবরাহ করা
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ওদের কাজ অপহরণকারীদের অস্ত্র-বিস্ফোরক সরবরাহ করা।এসব অস্ত্র-বিস্ফোরক তারা সীমান্ত দিয়ে পাচার করে নিয়ে আসে।গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) কৃষ্ণপদ রায় মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন এন্টি কিডন্যাপিং স্কোয়াড এর প্রধান ও ডিবির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সদ্য ঘঠিত এন্টি কিডন্যাপিং স্কোয়াড অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের কাছে অস্ত্র-বিস্ফোরক সরবরাহের অভিযোগে নারীসহ ৭ অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।
সোমবার রাত পৌনে ১১টায় যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা থেকে ৫টি বিদেশী পিস্তল, ৫টি ম্যাগাজিন, ২৮ রাউন্ড গুলি ও ৬ কেজি ২০০ গ্রাম বিস্ফোরকসহ মো. কাবিলা (২২), মো. জিল্লুর রহামন ওরফে জিল্লুর (২৩), মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রকি (২৪), নিজাম উদ্দিন (৫০), মো. সাদ্দাম হোসেন (২৪), মো. শরিফুল ইসলাম ওরফে আশরাফুল ইসলাম (২৬) ও মোসাম্মৎ খালেদা বেগম ওরফে রেবিনা ওরফে সীমাকে (২০) গ্রেফতার করা হয়।
কৃষ্ণপদ রায় বলেন, গ্রেফতারকৃত অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের সদস্যদের দেয়া তথ্যে ভিত্তিতে এই ৭ জন অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। এ্যান্টি কিডন্যাপিং স্কোয়াডের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে সোমবার রাত পৌনে ১১টায় কাবিলা, জিল্লুর ও রকিকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি বিদেশী পিস্তল ও ১৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে, তারা দীর্ঘ দিনযাবত সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক সংগ্রহ করে ভূয়া ডিবি পুলিশ চক্রকে অস্ত্র ভাড়া হিসেবে দিতো, কখনওবা তাদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করতো। রাজধানীর আরো কয়েকটি গ্রুপের কাছেও তারা অস্ত্র-গুলি সরবরাহ করে থাকে।
এছাড়াও তারা রাজধানীর পার্শ্ববর্তী এলাকার বিভিন্ন অপরাধী গ্রুপের কাছে তা সরবরাহ করে থাকে। এই অস্ত্র পরিবহনে পুরুষের পাশাপাশি নিরাপদ বাহক হিসেবে তারা নারী সহযোগিকে ব্যবহার করে আসছে বলে জানিয়েছে তারা।
তাদের সহযোগীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী ও তেজগাঁও থানায় ৩টি মামলা করা হয়েছে।
মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন জানান, আমরা অপহরণকারীদের মূল উৎপাটন করতে চাই। এজন্য তাদের রশদ কোথা থেকে আসছে, তাই খুঁজে বের করতে চাই। পুরো চক্রটিকে কব্জায় এনে মানুষের মনে স্বস্তি ফিরিয়ে দিতে কাজ করছি।
উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল সায়েদাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরক ব্যবসার অভিযোগে নিজাম, সাদ্দাম শরিফুল ও সীমাকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২টি বিদেশী পিস্তল ১৩ রাউন্ড গুলি, ৬ কেজি ২০০ গ্রাম বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়।