আবারো আলোচনায় মোফাজ্জল হোসেন মায়া
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ আবারো ঘুরে ফিরে আলোচনায় এসেছেন বর্তমান সরকারের দূর্যোগ ও ত্রান মন্ত্রী আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। ১৯৯৬এ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর যাদের কর্মকান্ডে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিল তাদের অন্যতম ছিলেন মায়ার বড় ছেলে দিপু চৌধুরী। সরকারী জমি, বাড়ি, মাঠ, বাজার দখল থেকে শুরু করে এমন কোন কাজ ছিল না, যা তিনি করেণ নাই। তবে বর্তমান সরকারের সময়েই শুধু নয়, মহাজোট সরকারের পাঁচ বছরেও তার বিরুদ্ধে তেমন কোন অভিযোগ শোনা যায়নি। এ সময়ে তিনি ব্যবসা-বানিজ্য ফোর লেন রাস্তার একটি কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবার আলোচনায় এসেছেন তার মেয়ের জামাতা নারায়নগঞ্জে প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ ৭ জনকে অপহরণের পর হত্যায় অভিযুক্ত সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মাদের কর্মকান্ডে। তারেক র্যাব-১১’র অধিনায়ক ছিলেন। ক্ষমতাধর এই কর্মকতাকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গত ২ মে সেনাবাহিনীতে প্রত্যাহার করা হয়। এর পরের দিন (৩ মে) নিহত নজরুল ইসলামের শশুর সহিদ চেয়ারম্যান সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন- ‘নুর হোসেনের কাছ থেকে ৬ কোটি টাকা নিয়ে র্যাব-১১ নজরুলকে হত্যা করেছে’। শহিদ চেয়ারম্যানের এ অভিযোগের পর গণমাধ্যম নড়েচড়ে ওঠে। তদন্ত প্রতিবেদন তৈরীতে নেমে পড়েন সাংবাদিকরা। জট খুলতে থাকে রহস্যের। ৬ মে তারেকসহ আরো দুজন কর্মকর্তা চাকরি হারান।
এসব ঘটনায় গণ-মাধ্যমে ঘুরে ফিরে বার বার আলোচনায় আসছেন সরকারের ক্ষমতাধর মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। দূর্যোগ ও ত্রান মন্ত্রনালয় কোন বিষয় আলোচনায় না এলও তিনি তার জামাতার কারণে আলোচনা কেন্দ্রবিন্দু। হাটে মাঠে ঘাটে নারায়নগঞ্জের সাত হত্যা ও র্যাব-১১’র ভুমিকা নিয়ে চলছে তোলপাড়। তার সঙ্গে প্রতিদিন যোগ হচ্ছে গণ-মাধ্যমের তদন্ত প্রতিবেদন। এতে সংবাদ শিরনামও হচ্ছেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।