ভৎসনায় করার পর র্যাবের তদন্তাদেশ পৌঁছলো
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাকে ওপেনকোর্টে ডেকে ভর্ৎসনা করার পর নারায়ণগঞ্জে কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ সাত খুনের ঘটনা তদন্ত সংক্রান্ত বিষয়ে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বুধবার পৌঁছল সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের নিকট।
বিশেষ বার্তা বহনকারীর মাধ্যমে বুধবার বিবাদীদের নিকট পৌঁছানোর জন্য আদেশের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে বলে এবিসি নিউজ বিডিকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার একেএম শামসুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “৬ মে আদেশের অনুলিপিতে বিচারকরা স্বাক্ষর করেন। এরপর শাখায় এলেও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তা বিবাদীদের নিকট পাঠায়নি। ওই আদেশের অনুলিপি পাঠানোর জন্য একজন দ্বায়িত্বরত সুপার রয়েছেন। যিনি শুধুমাত্র নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের বিষয়ে র্যাবের টাকা লেনদেনে ঘটনা সংক্রান্ত তদন্তের আদেশ দিয়েছিল হাইকোর্টে।
স্বঃপ্রণোদিত হয়ে হাইকোর্টের দেয়া ওই আদেশে বিবাদীরা হলেন- জনপ্রশাসন সচিব, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাবের মহাপরিচালক, অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান।
এর আগে ওই আদেশের অনুলিপি বিবাদীদের নিকট পাঠানোর দায়িত্বপ্রাপ্ত ফৌজদারি বিবিধ শাখার সুপার মোহাম্মদ হোসেন মিয়াকে (ওপেনকোর্টে) উন্মুক্ত আদালতে ডেকে পাঠায় আদেশদানকারী দুই বিচারক। তারা হলেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর।
এ সময় তারা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আদেশের কপি বিতরণের দেরি করার কারণ জানতে চান। সন্তোষজনক জবাব না পেয়ে ডেকে পাঠানো হয় অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার শরিফ উদ্দিন আহমদকে।
ওই আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এএসএম নাজমুল হক বলেন, ডেকে তিরষ্কার করার পাশাপাশি মোহাম্মদ হোসেন মিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও বলেন আদালত।
নারায়ণগঞ্জে কাউন্সিলর নজরুল, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করে হত্যার ঘটনায় র্যাবের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠার পর সোমবার পুরো বিষয়টি তদন্তের আদেশ দেয় হাই কোর্টের এই বেঞ্চ।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণাণলয়ের অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে সাত সদস্যের এই কমিটি গঠন করতে বলা হয়।