খালেদাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই আদালত পরিবর্তন : ফখরুল
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে এবং তাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে সরকার আদালত স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘ঢাকার দায়রা জজ আদালত থেকে খালেদা জিয়ার মামলা স্থানান্তরের করে আলিয়া মাদ্রাসায় অবস্থিত বিশেষ আদালতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত সরকারের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।’
তিনি বলেন, ‘সরকার তড়িঘড়ি করে বিরোধী দলের নেতাদের শাস্তি দেওয়ার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে।’
সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে ঢাকা দায়রা জজ আদালতে মামলার কার্যক্রম চালানোর দাবি জানান তিনি । এই ঘটনায় তিনি নিন্দা ও ক্ষোভ জানান।
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘দেশের সামগ্রীক অর্থে গণতন্ত্র আক্রান্ত, মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করে নেওয়া হয়েছে। বিরোধী দলকে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। তাদের উদ্দেশ্য বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখা।’
১৪ মে নারায়ণগঞ্জে বেগম খালেদা জিয়াকে জনসভার অনুমতি না দেওয়া প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রথম দিকে নারায়ণগঞ্জের সিটি মেয়র আইভী রহমান সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার কথা বললেও পরে তিনি সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। দেশের বিরোধী নেতাকে যেতে না দেওয়া গণতন্ত্রের জন্য প্রচণ্ড আঘাত। একটি গণতান্ত্রিক দেশে এই ধরণের ঘটনা বিরল।’
তিনি বলেন, ‘সাতজন ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করায় গোটা জাতি স্তম্ভিত ও ক্ষুব্ধ। এই ঘটনায় সারাদেশে মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছে। সেই সময় সরকার আস্তে আস্তে বিরোধী দলের সভা সমাবেশসহ নানা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে শুরু করেছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বেগম জিয়া নারায়ণগঞ্জে যাবেন যেসব পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, স্বজন হারা হয়েছেন তাদেরকে সান্ত্বনা জানাতে। সেখানে তিনি একটি সমাবেশের মাধ্যমে জনগণকে দিক নিদের্শনা দেয়ার জন্য। আমরা এখনো আশা রাখি সিটি মেয়র বিএনপির জনসমাবেশ করার অনুমতি দেবেন।’
গতরাতে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের যাওয়ার সময় বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো প্রসঙ্গে বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও আমাকে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে যেতে বাধা দিয়েছে সরকার।’
সরকারের প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থাকার পরে তিনি সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।