রাজউকের চার কর্মকর্তাকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

dudokসিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ নিয়মবর্হিভূতভাবে প্লট বরাদ্দের অভিযোগে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চার কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। বিকাল ৫টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ চলবে বলে জানা গেছে। দুদকের উপ-পরিচালক যতন কুমার রায় এদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

প্রবাসীকল্যাণ সচিব ড. খোন্দকার শওকত হোসেনের (সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব) বিরুদ্ধে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে দায়ের করা তিনটি মামলার তদন্তে এসব কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এর আগে ২২ এপ্রিল ড. খোন্দকার শওকত হোসেনের নিজের, তার মা এবং স্ত্রীর নামে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল থানায় পৃথক তিনটি মামলা করে দুদক। মামলা নং- ৮, ৯, ১০।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রাজউকের উত্তরা আবাসিক প্রকল্পের ১৪ নম্বর সেক্টরে খোন্দকার শওকত হোসেনের মা জাকিয়া আমজাদ প্রথমে এক ব্যক্তির লিজপ্রাপ্ত তিন কাঠার প্লট কেনেন। সেটি বিমান উড্ডয়ন জোনের অন্তর্ভুক্ত উল্লেখ করে অন্যত্র পাঁচ কাঠার প্লট বরাদ্দ দিতে জাকিয়া আমজাদ রাজউকে আবেদন করেন। পরে তাকে ১৩ নম্বর সেক্টরে পাঁচ কাঠার একটি প্লট বুঝিয়ে দেওয়া হয়। যদিও রাজউকের বিধি অনুযায়ী, প্লট পরিবর্তন করে ওপরের স্তরে বরাদ্দ করার এবং প্লটের আয়তন বাড়ানোর কোনো নিয়ম নেই।

অপরদিকে খোন্দকার শওকত হোসেন ২০০১ সালে সম্প্রসারিত উত্তরা প্রকল্পে নিজের নামে তিন কাঠার প্লট বরাদ্দ নেন। সেটাকে অনিয়মের মাধ্যমে তিন কাঠা থেকে পাঁচ কাঠায় রূপান্তর করেন। সেখান থেকে দুই কাঠা জমি বিক্রি করে দেন। পরে তিনি ওই জমি ডেভেলপমেন্টের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়ার সময় পুরো পাঁচ কাঠার আমমোক্তারনামা (পাওয়ার অব অ্যাটর্নি) দেন।

এছাড়া এজাহারে বলা হয়, পূর্বাচল প্রকল্পে ২০০৪ সালে তিনি স্ত্রী ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ আয়েশা খানমের নামে সাড়ে সাত কাঠার প্লট বরাদ্দ নিয়ে প্রথমে ১০ কাঠা এবং পরে তা সাড়ে ১২ কাঠায় উন্নীত করেন।

খোন্দকার শওকত হোসেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে এসব অনিয়ম করেন। যা ১৯৪৭ সালের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২)ধারায় অপরাধ। আর এ অপরাধে মতিঝিল থানায় দুদক বাদী হয়ে মামলা করেছে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ