র‌্যাবের ৩ কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ হাইকোর্টের

ngonj নারায়ণগঞ্জসিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলায় সন্দেহভাজন চাকরিচ্যুত র‌্যাবের তিন কর্মর্তাকে গ্রেফতারের নির্দেশে দিয়েছে হাইকোর্ট। তাদের গ্রেফতারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশে দেয়া হয়েছে।
রোববার সকালে নিহত চন্দন সরকারের জামাতার দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ। রিটে সাত খুনের তদন্ত পর্যবেক্ষণে বিচার বিভাগীয় পর্যবেক্ষণ চেয়ে চার বিভাগীয় কমিশন গঠনে হাইকোর্টের  নির্দেশনা চাওয়া হয়।
তিন সন্দেহভাজন র‌্যাব কর্মকর্তা হলেন, র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মাহমুদ, সাবেক অধিনায়ক মেজর আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার এম এম রানা।

নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম গত ৪ মে র‌্যাবের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, নজরুলকে র‌্যাব টাকার বিনিময়ে তুলে নিয়ে হত্যা করেছে।
শহিদুল ইসলামের অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট সরকারকে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশে দেয়। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহজাহান আলী মোল্লার নেতৃত্বে  সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় । গত বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটির সদস্যরা অপহরণের স্থান ফতুল্লার শিবু মার্কেট এলাকা এবং বন্দর উপজেলার শান্তিনগর (লাশ উদ্ধারের স্থান) পরিদর্শন করেন।

এর আগে গত ৫ মে নারায়ণগঞ্জে ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ চাঞ্চল্যকর সাত হত্যার ঘটনায় র‌্যাবের কোনো সদস্য জড়িত রয়েছে কিনা তা র‌্যাবকে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এছাড়া ডিবির পাশাপাশি সিআইডিকেও মামলার তদন্ত করতে বলা হয়েছে আদালতের আদেশে।

ওই দিন একই সঙ্গে এ মামলার সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গত সোমবার হাইকোর্টের  বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি গোবিন্দ্র চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

আদেশে সাত দিনের মধ্যে ঘটনার সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করে অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।

গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ আদালত থেকে লিংক রোড ধরে ঢাকায় যাওয়ার পথে অপহৃত হন সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম এবং তার চার সহযোগী। প্রায় একই সময়ে একই সড়ক থেকে গাড়িচালকসহ অপহৃত হন আইনজীবী চন্দন সরকার। তিন দিন পর গত ৩০ এপ্রিল একে একে ছয়জনের এবং পরদিন ১ মে আরেকজনের লাশ পাওয়া যায় শীতলক্ষ্যা নদীতে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ