বিএনপির ১০ দিনের কর্মসূচি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে
এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা : বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী ৩০ মে। এ উপলক্ষে দলটি ১০ দিনব্যাপী বেশকিছু কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ২৭ মে হতে ৬ জুন পর্যন্ত দেশব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
রোববার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যৌথসভা শেষে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
দুদু জানান, ২৯ মে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করবে বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ৩০ মে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন চেয়াপারসনসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। ৩০ মে থেকে ১ এপ্রিল তিন দিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দুস্থদের মধ্যে দলের পক্ষ থেকে খাবার বিতরণ করা হবে। এই খাবার বিতরণে অংশ নেবেন চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
এক প্রশ্নের জবাবে দুদু বলেন, ‘আমরা কঠোর কর্মসূচির মধ্যে আছি। কয়েকদিন আগে ঘুর্নিঝড় ‘মহাসেন’র কারণে আমরা কয়েকদিন কর্মসূচি দেয়নি। একটু অপেক্ষা করেন কঠোর কর্মসূচি আসবে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে দুদু বলেন, ‘দেশে কোনো জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে বলে আমরা জানি না। সরকার সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিকভাবে সংবিধানবিরোধী স্বৈরাচারী দৃষ্টিভঙ্গীতে প্রধান বিরোধীদলসহ কোনো রাজনৈতিক দলকে কর্মসূচি পালন করতে দিচ্ছে না। একই সঙ্গে সরকারের আশ্রিত ১৪ দল এই মাসেই কয়েকটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এবং পালন করছে। এটা যেন মগেরমুল্লুকে পরিণত হয়েছে। হাসিনা যা বলবেন, যা করবেন এবং তার সঙ্গে যারা থাকবেন তারাই এই দেশের মালিক। এভাবে কোনো দেশ চলতে পারে না। আমরা মনে করি, এর একটি অবসান হওয়া দরকার।’
কার্যালয়ে প্রবেশে পুলিশের বাধা
সংবাদ সম্মেলনে দুদু অভিযোগ করেন, দলের কোনো নেতাকর্মী কার্যালয়ে আসতে পারছেন না। তাদের পুলিশ বাধা দিচ্ছে। এমন শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি আমরা দেখেছি ১৯৭২-৭৫ সালে। তখন শেষ মুজিব সাহেব দেশে একদলীয় বাকশাল চালু করেছিলেন। তার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠিক তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে একদলীয় শাসন করছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের যুগ্ম-মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলুকে কাশিমপুর কারাগারে হাই সিকিউরিটি জেলে রাখা হয়েছে। এটি টপ টেররদের জায়গা। তিনি একজন সংসদ সদস্য। সংসদ অধিবেশন চলছে। তাকে কোনো অবস্থায়ই গ্রেফতার করার প্রশ্ন ওঠে না। তাকে গ্রেফতার করে নির্যাতন চালানো হচ্ছে। আমরা ভয় পাই না এসব বাধা বিপত্তি নির্যাতন, গ্রেফতার, হামলা, গুম অথবা যা কিছু করা হোক না কেন।’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে দুদু বলে, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সতর্ক করে বলে দিতে চাই, এই দেশে হত্যা-নির্যাতন জেল-জুলুম করে পাকিস্তানে বাঙালীদের দমিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। আমরা যুদ্ধে মিমাংসা করেছি স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র। যুদ্ধেই নিজেদের অধিকার মীমাংসা করেছি। সেটি যদি আবার করার প্রশ্ন ওঠে তাহলে বিএনপি তা করবে। দেশকে যদি আবারো স্বাধীন করতে হয়, তবে বিএনপি তা করবে।