আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ নারায়ণগঞ্জে সাত খুনে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তিন র্যাব কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আদালতে নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
একটি রিট আবেদনে রোববার হাই কোর্ট র্যাব-১১ এ থাকা তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়।
ওই তিন কর্মকর্তা হলেন- লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন এবং নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এমএম রানা।
এদের মধ্যে তারেক সাঈদ র্যাব-১১ এর অধিনায়ক ছিলেন। তিনি ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জামাতা।
গত ২৭ এপ্রিল কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ সাতজন অপহৃত হওয়ার দুদিন পর এই তিনজনকে নারায়ণগঞ্জ থেকে সরিয়ে এনে নিজ নিজ বাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়। ইতোমধ্যে তাদের অবসরেও পাঠানো হয়েছে।
হাই কোর্টের আদেশের পর তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের পদক্ষেপ জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “ওই নির্দেশনার কপি হাতে পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এজ পার ল, যে ধরনের নির্দেশনা থাকবে, তাই করা হবে।”
নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় র্যাবের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠার পর হাই কোর্ট স্বঃপ্রণোদিত হয়ে ঘটনার তদন্তে একটি প্রশাসনিক তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়।
আদালত কর্মীদের অবহেলায় ওই আদেশ দেরিতে পৌঁছায় দুদিন পর ওই তদন্ত কমিটি হয়, কমিটির সদস্যরা ইতোমধ্যে নিহত সাতজনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। সোমবার তারা গণশুনানি নেবেন।
“তবে তদন্ত চলাকালে এ রিটটি না করলেও পারত,” মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
লাশ উদ্ধারের পর নজরুলের স্বজনরা র্যাবের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তুলে তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
কিন্তু তাতে ফল না পেয়ে নিহত চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পালসহ তিনজন র্যাব কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদনটি করেন।
এতে হাই কোর্টের আদেশে বলা হয়, চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া ওই তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি বা অন্য কোনো বিশেষ আইনে কোনো অভিযোগ পাওয়া না গেলে তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করতে হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।