অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান নিয়ে আলোচনা হবে
আনুষ্ঠানিকভাবে বিরোধী জোটের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নাকচ করে দিয়ে সরকারি দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে। আর সে সরকারের প্রধান কে হবে সেটা নিয়েই বিরোধী দলের সাথে আলোচনা হবে।
রোববার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যে প্রস্তাব আওয়ামী লীগ দিয়েছে সেখানে কোনো ব্যক্তির নাম নেই। আমাদের প্রস্তাব কোরানের বাণী নয়। প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্যই তো প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলকে আহ্বান জানিয়েছেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, সংসদে প্রস্তাবন দেন। আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা হবে।
তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন সময়ে মিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ফর্মুলা দিযেছি। বিরোধী দলকে সেই ফর্মুলা নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু বেগম জিয়া আলোচনার বিষয়টি কখনোই গুরুত্ব দেননি। আগে একবার তিনি বলেছিলেন তলে তলে আলোচনা হবে না। আবার প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার প্রস্তাবের পর তিনি তা তুচ্ছ করে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন।
হেফাজতে ইসলামের ৫ মের কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, ডাকাতদের মত, প্রাচীনকালে চর দখলের মত দিন তারিখ ঠিক করে সরকার উৎখাতের আল্টিমেটাম দেয়। এটা কোন সিরিয়াস রাজনীতি নয়।
এ সময় তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বেগম জিয়া নিকট অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে আলোচনায় আসবেন। আলোচনা করে ঐকমত্যে পৌঁছানোই উত্তম পথ।
যুদ্ধাপরাধের অভিযুক্ত দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর সাক্ষী সুখরঞ্জন বালাকে ট্রাইবুন্যালের সামনে থেকে অপহরণের অভিযোগ ওঠেছে। পরে তাকে ভারতের কারাগারে পাওয়া যায়। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারলাম অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী তাকে আটক করে। পরে ভারত সরকার অবৈধ প্রবেশের কারণে তাকে জেলে প্রেরণ করেন।
আগামী এক মাসের জন্য সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এমন আদেশ জারি সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব সময় সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করা যায় না। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করা যায় না। এসব দুর্যোগের সময় সবার প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধভাবে দুর্গতদের সাহায্য করা। এজন্য সরকার এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা শুধু বিরোধী দলের জন্য নয়, সরকারি দলসহ সবার ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ উল আলম লেনিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বি এম মোজাম্মেল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভুইয়া ডাবলু, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল প্রমুখ।