২০ র্যাব সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদে চিঠি
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ নারায়ণগঞ্জে সাত খুনে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে চাকরিচ্যুত তিন র্যাব কর্মকর্তাসহ র্যাব-১১ এর অন্তত ২০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদে চিঠি দিয়েছে এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে গঠিত কমিটি।
সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সুব্রত হালদার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানিয়েছেন।
সুব্রত হালদার নারায়ণগঞ্জ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে বিশেষ কমিটির আহ্বায়ক।
অভিযুক্ত তিন কর্মকর্তা হলেন- র্যাব-১১ এর সাবেক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মাহমুদ, মেজর আরিফ হোসেন এবং নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এমএম রানা। এদের মধ্যে তারেক সাঈদ ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার মেয়েজামাই।
সুব্রত হালদার বলেন, “এই তিন কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাদের চিঠি দেয়া হয়েছে।”
তবে ওই তিনজন ছাড়া আর কতজনকে এবং কবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তা নিশ্চিত করেননি।
এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ঘটনার দিন র্যাব-১১ এ কর্মরত সদস্যদের ‘ডিউটি রোস্টার’ সংগ্রহ করে সে অনুযায়ী সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদে চিঠি দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে গাড়ির চালক থেকে শুরু করে অন্যান্য র্যাব সদস্যরাও রয়েছেন। এই সংখ্যাটি প্রায় ২০ জন হতে পারে বলে সূত্রটি নিশ্চিত করেছে।
গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ ভেসে ওঠে।
লাশ উদ্ধারের আগের দিন তারেক সাঈদকে র্যাব-১১ এর অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সেনাবাহিনীতে পাঠানো হয়েছিল।
এরপর নিহত নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, নারায়ণগঞ্জের আরেক কাউন্সিলর নূর হোসেন ও তার সহযোগীদের কাছ থেকে ছয় কোটি টাকা নিয়ে র্যাব সদস্যরা তার জামাতাসহ সাতজনকে ধরে নিয়ে হত্যা করেছে।
ওই অভিযোগ ওঠার পর গত ৭ মে সাঈদসহ র্যাব-১১ এর ওই তিন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অকালীন অবসরে পাঠানো হয়।
এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে এই পর্যন্ত ২১ জনকে আটক করেছেন। এর মধ্যে ৭ জনকে হত্যামামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অন্যদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।