কাউকে যেন ছাড় দেয়া না হয়: প্রধানমন্ত্রী
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় জড়িত কারো প্রতি নমনীয় না হতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে।
ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠায় ইতোমধ্যে একজন জ্যেষ্ঠ আওয়ামী লীগ নেতা ও মন্ত্রীর জামাই চাকরি খুইয়েছেন। দুই সহযোগীসহ সাবেক ওই র্যাব কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করার আদেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।
রোববার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এসে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কামাল বলেন, “যা আইনগত তা এক্সিকিউট করতে বলা হয়েছে।
“কোনো সফটনেস দেখানো হবে না বলেও তিনি বলেছেন।”
রোববার সন্ধ্যায় সেনা প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভুঁইয়াও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন বলে প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী কামালকে বলেছেন, “কাউকে যেন ছাড় দেয়া না হয়।”
তিন র্যাব কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা হাতে পৌঁছেছে কি না জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বিকাল ৫টা পর্যন্ত আসেনি। তবে আসবে বলে শুনেছি। এতক্ষণে রাত সোয়া ১০টা দিকে মনে হয় এসে গেছে সেই নির্দেশনা।”
তিনি বলেন, “আমরা (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) প্রস্তুত রয়েছি। যা নির্দেশনা থাকবে তাই করা হবে।”
নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তিন র্যাব কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আদালতে নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন বলে রোববার বিকালে জানিয়েছিলেন তিনি।
একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার হাই কোর্ট র্যাব-১১ এ থাকা তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়।
ওই তিন কর্মকর্তা হলেন- লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন এবং নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এমএম রানা।
এদের মধ্যে তারেক সাঈদ র্যাব-১১ এর অধিনায়ক ছিলেন। তিনি ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জামাতা।
গত ২৭ এপ্রিল কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ সাতজন অপহৃত হওয়ার দুদিন পর এই তিনজনকে নারায়ণগঞ্জ থেকে সরিয়ে এনে নিজ নিজ বাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়। ইতোমধ্যে তাদের অবসরেও পাঠানো হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় র্যাবের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠার পর হাই কোর্ট স্বঃপ্রণোদিত হয়ে ঘটনার তদন্তে একটি প্রশাসনিক তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়।
আদালত কর্মীদের অবহেলায় ওই আদেশ দেরিতে পৌঁছায় দুদিন পর ওই তদন্ত কমিটি হয়, কমিটির সদস্যরা ইতোমধ্যে নিহত সাতজনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। সোমবার তারা গণশুনানি নেবেন।
“তবে তদন্ত চলাকালে এ রিটটি না করলেও পারত,” দুপুরে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
লাশ উদ্ধারের পর নজরুলের স্বজনরা র্যাবের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তুলে তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
কিন্তু তাতে ফল না পেয়ে নিহত চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পালসহ তিনজন র্যাব কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদনটি করেন।