সুরঞ্জিতও সংস্কার চাইলেন র্যাবের !
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ র্যাবের সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
সোমবার দুপুরে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত ‘পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার স্মরণ সভা’য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
খালেদা জিয়ার র্যাব বিলুপ্তির পরামর্শের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, র্যাব বিলুপ্তি করলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে- এটা তার (খালেদা) ভ্রান্ত ধারণা, না হয় রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক বক্তব্য। আমি মনে করি, র্যাবের সংস্কার জরুরি।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, এ সংস্কার আইনগত ও সামাজিক। এর মূল তত্ত্ব হবে- তাদের জবাবদিহিমূলক অবস্থানে নিতে হবে। তাতে দেশের কল্যাণ হবে। জবাবদিহি ছাড়া যে কোনো প্রতিষ্ঠান ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কোর্টও যথেষ্ট সক্রিয় হয়ে উঠেছে। উঠারও কারণ আছে। এ নিয়ে কোর্ট একটি আদেশ দিয়েছে। এটা সুপ্রিমকোর্ট দিয়ে স্থগিত করতে হবে, না হয় পালন করতে হবে।
সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া র্যাব বিলুপ্তির কথা বলেছেন, এ র্যাবের জন্মদাতা তারাই। ২০০৬ সালে ড. মোশাররফ হোসেন লন্ডনে বলেছিলেন, র্যাবই আমাদের মূল শক্তি।
তিনি বলেন, এ বিলুপ্তির ধারা রাজনীতির জন্য সুখকর নয়। বিডিআর বিলুপ্তি করে বিজিবি করাও আমার মনপুত হয়নি। মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান অনস্বীকার্য।
নারায়ণগঞ্জের ঘটনা প্রসঙ্গে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, এ নিয়ে সত্য উদ্ঘাটন হওয়া রাজনীতির একান্ত প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর জন্য সব মহলের সাহায্য প্রয়োজন। এটা আমাদের জাতীয় জীবনের জন্য অপরিহার্য। তাই নারায়ণগঞ্জের বিষয়ে সত্য উদ্ঘাটনের আহ্বান জানাচ্ছি।
সুরঞ্জিত বলেন, আমি মনে করি- আমাদের সরকার এ নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে আন্তরিকভাবে সচেষ্ট। আসামি ধরার সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। কিছু ধরা পড়েছে। প্রধান আসামি নূর হোসেন অচিরেই ধরা পড়বে- সে তো আওয়ামী লীগের মাল না।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের যে সঙ্কট দেখা দিয়েছে, সেটা প্রশাসনসহ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। এটা একে অপরের প্রতি দোষ না চাপিয়ে কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করেন।
সংগঠনের উপদেষ্টা ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, বঙ্গবন্ধু একাডেমির আরেক উপদেষ্টা চিত্তরঞ্জন দাস, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুণ চৌধুরী।