র্যাবের তিন কর্মকর্তার আত্মসমর্পন বা আপিল ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই : স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ নারায়নগঞ্জের প্যানেল মেয়র ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ ৭ জনকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সেনাবাহিনী থেকে অপসারিত তারেক সাঈদসহ র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তার এখন আত্মসমর্পন বা আপিল করা ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বুধবার সচিববালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সম্মেলন কক্ষে চোরাচালান রোধ সম্পর্কিত আন্তমন্ত্রনালয়ের বৈঠকে শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনী থেকে অপসারিত তিন সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেফতারে আদালতের নির্দেশ মেনেই কার্যক্রম চলছে। আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে একটু সময় লেগেছে। আমাদের সকল প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এখন গ্রেফতারের প্রক্রিয়ায়ও সম্পন্ন্ হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তার এখন আত্মসমর্পন বা আপিল করা ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই।
তিনি বলেন, ‘আজই তিন কর্মকর্তা গ্রেফতার’ গতকাল এমন কোন কথা আমি গণমাধ্যমে বলিনি। আমাকে মিস কোড করা হয়েছে।
অপহরণে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় র্যাবের-১১ সিও (অধিনায়ক) লে.কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির কারনে নারায়নগঞ্জের জেলা প্রশাসক মনোজকান্তি বড়াল ও জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলামকে ২৯ এপ্রিল প্রত্যাহার করা হয়। এর পর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ স্পষ্ট হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ৬ মে লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেনকে সেনাবাহিনী থেকে এবং নারায়নগঞ্জ ক্যাম্পের সাবেক প্রধান লে. কমান্ডার এম.এম রানাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
নিহত নজরুল ইসলাম নাসিক প্যানেল মেয়র ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং যুবলীগের কে›ন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ছিলেন। নিহত অন্যরা হচ্ছেন- অ্যাডভোকেট চন্দন সরকার, তার গাড়ি চালক জাহাঙ্গীর, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠনের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কমিটির সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগ কর্মী মনিরুজ্জামান স্বপন, লিটন ও গাড়ি চালক ইব্রাহিম।