র্যাবকে ইচ্ছাপূরণ পত্র দিয়েছে সরকার : রিজভী
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ চালানোর জন্য র্যাবকে সরকার ইনডালজেন্স বা ইচ্ছাপূরণ পত্র দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ।
তিনি বলেন, সেজন্য এই মুহূর্তে র্যাব বিলুপ্ত করা না হলে অবৈধ সরকারের এবং কালো টাকার মালিকদের অশুভ ইচ্ছা বাস্তবায়নে মানুষের জীবননাশের ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী আহমেদ সাম্প্রতিক সময়ে র্যাবের কর্মকাণ্ডে ব্যাপক সমালোচনা করে বলেন, র্যাব মানুষের ঘুম কেড়ে নেয়া মূর্তিমান বর্গীসেনা, সিরিয়াল কিলার এবং রক্ষীবাহিনীর প্রেতাত্মা।
তিনি বলেন, সরকার দেশব্যাপী খুন-খারাবি চালিয়ে যাওয়ার নিজস্ব মার্সিনারি বাহিনীতে পরিণত করেছে র্যাবকে। এজন্য একের পর এক মানবতাবিরোধী গুরুতর অপরাধ করেও আইনের হাত থেকে রেহাই পেয়ে যাচ্ছে তারা।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ঘটনার পর থেকেই নিহত নজরুলের শ্বশুর অভিযোগ করে আসছিলেন কাউন্সিলর নূর হোসেন টাকার বিনিময়ে র্যাবকে দিয়ে এই গুম ও হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এরপরও র্যা বের অভিযুক্ত কমকর্তাদের গ্রেফতার না করে সব সুযোগ-সুবিধা দিয়ে অবসর দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অভিযুক্ত র্যাব কর্মকর্তার একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর জামাতা হওয়ার কারণে রাষ্ট্রের প্রটেকশন পেতে তাদের অসুবিধা হয়নি। জবাবদিহিকতা না থাকার কারণে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার প্রশ্রয়ে র্যাব উন্মাদ ও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীনদের আত্মীয় হওয়ার কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তা মানুষ হত্যা করতে অতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। যার শিকার অধিকাংশ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মী। এরা টাকার বিনিময়েও এখন মানুষ হত্যার বাণিজ্যে নেমে পড়েছে। আইনের বাহিনীর বদলে হায়ার্ড কিলার হিসেবে অভিহিত হচ্ছে।
রিজভী অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সাত খুনের সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করতে হবে। আর অন্যদিকে নিহত নজরুলের শ্বশুর বলছেন, নজরুলসহ সাত খুনের ঘটনার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে সীমান্ত পার করে কলকাতায় পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান। এই জিয়াউল প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত কাছের লোক।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার উপস্থিত ছিলেন।