চোরাই তেল নিয়ে কোস্টগার্ড-পুলিশের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ভোলাঃ ভোলায় তেল নিয়ে চলছে তেলেছমাতি কান্ড! কোস্ট গার্ডের হাতে আটক হওয়া আড়াই কোটি টাকা মূল্যের চোরাই পেট্রোলসহ একটি অয়েল ট্যাংকার ও দু’টি তেলবাহী লরী পুলিশ হেফাজত থেকে গায়েব হওয়ার দু’দিন পরে হদিস মিলেছে। তবে আটক চোরাই পেট্রোলের পরিমাণ এজাহারে ৭০ হাজার লিটারের স্থলে ৯ হাজার উল্লেখ করা নিয়ে পুলিশ ও কোস্টগার্ড একে অপরকে দোষারোপ করছে। শুধুই কি তাই? মেসার্স নাঈম ট্রেডার্সের মালিকানাধীন ওই সব তেল ও মালামাল আটক করা হলেও মামলা থেকে ওই তেলের মালিক তেল কবিরের নাম কৌশলে বাদ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকালে তেল আটকের পর কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের কমান্ডারের পক্ষে লে. কমান্ডার এ এম রাহাতুজ্জানের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, একটি লড়ি থেকে চার হাজার লিটার, অপর একটি ট্যাংকার থেকে আড়াই কোটি টাকা মূল্যের ৭০ হাজার লিটার পেট্রোলসহ দু’টি ট্যাংকার ও একটি কার্গো জাহাজ আটক করা হয়। যা পরবর্তীতে ভোলা থানায় হস্তান্তর করা হয়। অথচ আটকের দু’দিন পর রোববার রাতে কোস্টগার্ডের পেটি অফিসার মো. নিজাম উদ্দিন বাদি হয়ে ভোলা থানায় করা মামলায় মাত্র ৯ হাজার লিটার পেট্রোলের কথা উল্লেখ করা হয়। এ নিয়ে এজাহার পাল্টানোর অভিযোগ তুলেছে কোস্টগার্ড। ভোলা থানার ওসি মোবাশ্বের আলী জানান, কোস্টগার্ড থেকে যেভাবে এজাহার দেওয়া হয়েছে, ঠিক সেভাবেই এজেহারভূক্ত করে কোর্টে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, কোস্টগার্ডের লে. কমান্ডার মোক্তাদির জানান, তিনি নিজে থানায় গিয়ে আটক তেলের পরিমাণ আনুমানিক ৭০ হাজার লিটার উল্লেখ করেই এজাহার দিয়েছেন। ওই এজাহারের কপি তাদের কাছে রয়েছে। তারা কোনো রদবদল করেননি। কোনো প্রকার রদবদল হয়ে থাকলে থানা পুলিশ করেছে। একই কথা জানান, অপারেশন অফিসারও।