উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু ২৮ মে

nurul islam nahid শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ আগামী ২৮ মে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির নীতিমালা সংক্রান্ত সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠক শেষে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাসলিমা বেগম জানান, একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য ২৮ মে থেকে ১২ জুন পযর্ন্ত টেলিটক মোবাইলে এসএমএসে আবেদন করতে হবে। তবে সনাতন পদ্ধতিতেও আবেদনপত্র জমা দেয়া যাবে। পুনঃনিরীক্ষণে যাদের ফল পরিবর্তন হবে তারা ১৬ জুন পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে।

“২২ জুন ভর্তির জন্য মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। বিলম্ব ফি ছাড়া ভর্তি ও টাকা জমা দেয়া যাবে ৩০ জুন পযর্ন্ত। বিলম্ব ফিসহ ভর্তি ও টাকা জমা দেয়া যাবে ২২ জুলাই পযর্ন্ত।”

ভর্তি প্রক্রিয়া শেষে ক্লাস শুরু হবে ১ জুলাই।

আগামী শনিবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হবেন।

বিগত কয়েক বছরের মত এবারো মাধ্যমিকের ফলাফলের ভিত্তিতেই একাদশ শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। গত দুই বছর পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি নেয়া রাজধানীর নটর ডেম কলেজকেও এবার এই নিয়মে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হবে।

এবার ভর্তি ফরমের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০ টাকা।

ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি বাতিল করে বিলম্ব ফিসহ অন্য কলেজে ভর্তি হতে চাইলে তাকে অভিভাবকের সম্মতিসহ সংশ্লিষ্ট কলেজে আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে ভর্তির সময় নেয়া অর্থের ৫০ শতাংশ ফেরত দেবে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

দশ শিক্ষা বোর্ডের পাশাপাশি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১২-২০১৪ সালে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাও এবার একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির সুযোগ পাবে।

সাতটি বিভাগীয় সদরের কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজের ৮০ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

অবশিষ্ট ১০ শতাংশ আসনের মধ্যে ৩ শতাংশ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় সদরের বাইরের এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য, ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্ত দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারী এবং স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পষর্দের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।

বাকী ১০ শতাংশ আসনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের ইচ্ছেমত শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারবে বলে জানান তাসলিমা।

ভর্তির সময় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সব বিষয়ের উপর সর্বোচ্চ ৪৩ গ্রেড পয়েন্ট ধরে জিপিএর ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করতে হবে।

বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তিতে সমান জিপিএ প্রাপ্তদের মেধাক্রম নির্ধারণে সাধারণ গণিত, উচ্চতর গণিত অথবা জীববিজ্ঞানে প্রাপ্ত জিপিএ বিবেচনায় আনা হবে।

আর মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে সমান জিপিএ প্রাপ্তদের ভর্তির ক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলায় অর্জিত গ্রেড পয়েন্ট বিবেচনা করা হবে।

তিন শতাধিক শিক্ষার্থী ভর্তি করার অনুমতি আছে এমন প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ভর্তির বিষয়টি নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে। তবে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী হলে অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি করতে হবে।

সভায় শিক্ষা সচিব মোহাম্মদ সাদিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ