দুই সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের চিঠি নারায়ণগঞ্জে
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় চাকরি হারানো দুই সেনাসদস্য র্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মাদ ও মেজর আরিফ হোসেনকে গ্রেপ্তারের চিঠি হাতে পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন।
র্যাবের ওই দুই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়ে পাঠানো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে হাতে পান বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন।
র্যাব কর্মকর্তাদের কখন গ্রেপ্তার করা হবে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাঁরা আইন অনুসারে ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
র্যাবের দুই কর্মকর্তাকে ফৌজদারি আইনে গ্রেপ্তারের অনুমতি দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের সাবেক প্রধান লে. কমান্ডার এম এম রানার বিষয়ে এখনো কোনো চিঠি পায়নি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ ওঠার পর ওই তিন কর্মকর্তাকে অবসর দেওয়া হয়৷ ৬ মে সেনাবাহিনীর দুজনকে অকালীন ও নৌবাহিনীর একজনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। ১১ মে এই তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট৷
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা গতকাল দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখায় গিয়ে ওই চিঠি দিয়ে যান। চিঠি পাওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল বিকেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে চিঠি পাঠানো হয়।
গত ২৭ এপ্রিল দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহূত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। এর তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল ছয়জনের এবং পরদিন আরও একজনের লাশ শীতলক্ষ্যায় ভেসে ওঠে৷ এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে মামলা করে নজরুলের পরিবার৷ ৪ মে নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, ছয় কোটি টাকার বিনিময়ে র্যাবের তিন কর্মকর্তা ওই সাতজনকে অপহরণ ও খুন করেছেন।