যুক্তরাজ্যে নতুন জাতের গম
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ-ভিত্তিক ‘ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব এগ্রিকালচারাল বোটানি’ আধুনিক জাতের সঙ্গে প্রাচীন জাতের গমের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে তৈরি করেছে এক নতুন জাতের গম।যে গমের ফলনে উৎপাদন ৩০ শতাংশ বেড়ে যাবে বলেই আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা একে বলছেন সুপারহুইট। গমটির প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা গেছে, এটি বর্তমানের আধুনিক জাতের গমের চেয়ে বড় আকারের এবং আরো মজবুত ধরনের।
অন্তত ৫ বছরের পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের পর কৃষকরা এটি উৎপাদন করতে পারবে।
কৃষকদের কেউ কেউ খাদ্য শিল্প, বিজ্ঞানী এবং সরকারের মধ্যে নতুন উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
তারা মনে করছে, আগামী কয়েক দশকে বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা চাহিদা মেটানোর জন্য পরিচালন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা দরকার।
বিশ্বব্যাপী বেশিরভাগেরই ক্যালোরির চাহিদা পূরণ হয় গম থেকে।
কিন্তু ২০ শতকের শেষ দিকে গম উৎপাদনে ধীরে ধীরে উন্নতি হলেও অন্তত গত ১৫ বছরে ব্রিটেনে প্রতি একর জমিতে গড়ে গম উৎপাদন খুবই কম হয়েছে।
খারাপ আবহাওয়ার কারণে উৎপাদন ব্যাহত হয়ে গম সঙ্কটের মুখে পড়েছে যুক্তরাজ্য।ফলে এক দশকের মধ্যে যুক্তরাজ্যকে এ বছরই প্রথম গম আমদানি করার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিবিসি’র রেডিও ফোর’স টুডে প্রোগ্রামে দেশটির ন্যাশনাল ফারমার্স ইউনিয়নে (এনএফইউ)প্রেসিডেন্ট পিটার কেনডাল গত বলেন, গত গ্রীষ্মে গম উৎপাদন গড়ে ৭ দশমিক ২ টন থেকে কমে হেক্টরপ্রতি ৬ দশমিক ৭ টনে দাঁড়িয়েছে।
২০১২ সালে ফসল উৎপাদনে খারাপ সময় যাওয়ার পর এ বছর কৃষকরা ভাল ফসলের আশায় ছিল। কিন্তু তা হয়নি, বলেন, এনএফইউ’র শস্য বোর্ডের চেয়ারম্যান ও গম কৃষক এন্ড্রু ওয়াটস।
কিন্তু এখন নতুন জাতের গম উদ্ভাবনের ফলে আবারো বেশি গম উৎপাদনের আশা জেগে উঠেছে।