পানি নিয়ে বিজেপি-কংগ্রেসের নীতি একই: হাফিজ
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেছেন, ‘পানি নিয়ে ভারতের বিজেপি এবং কংগ্রেস একই নীতি অবলম্বন করে। বিজেপি ক্ষমতায় আসলেই যে পানির সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে বিষয়টা এমন নয়। পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে হলে বাংলাদেশকে দলমত নির্বিশেষে আন্দোলন করতে হবে।’ দেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে ভারতের সঙ্গে পানির সমস্যা সমাধান হবে বলেও জানান তিনি। শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাউথ এশিয়া ইউথ ফর পিস অ্যান্ড প্রসপারিটি সোসাইটি আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ওয়াটার ডিসপিউটস’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। হাফিজ বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমরা কোনো যুদ্ধ কিংবা দ্বন্দ্বে যেতে চাই না। তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতে চাই। তাই আলোচনার মাধ্যমেই বিদ্যমান পানি সমস্যার সমাধান করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘১৯৯৭ সালে জাতিসংঘের নদী বিষয়ক কনভেনশন অনুযায়ী এক অববাহিকার পানি আরেক অববাহিকায় নেওয়ার বিধান নেই। কিন্তু ভারত সেই নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এক নদীর পানি অন্য নদীতে প্রবাহিত করছে।’ টিপাইমুখ বাঁধ সম্পর্কে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে টিপাইমুখে বাঁধ না দেওয়ার জন্য পরপর তিনবার ভারতকে চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার তাদের সঙ্গে আলোচনা কিংবা চিঠি দিয়েছে এমন তথ্য আজ পর্যন্ত জানা যায়নি।’ তিনি বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী যৌথ নদী কমিশনে প্রতিবছর চারটি মিটিং অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু বছরের পর বছর কেটে গেলেও এ বিষয়ে কোনো মিটিং হচ্ছে না। মিটিং করার জন্য বাংলাদেশ থেকে কোনো তাগিদও দেওয়া হচ্ছে না।’ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের প্রতি চরম অন্যায় করেছে এবং এখনও করে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকাররের পক্ষ থেকে পানির দাবি আদায়ের জন্য দৃঢ় কোনো দাবি তোলা হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে সুধী সমাজ টেলিভিশনে টক শো-তে কথা বলতে গেলে তাদের ভারতবিরোধী বলে আখ্যা দেওয়া হয়। যা খুবই দুঃখজনক।’ ভারতের নির্বাচন নিয়ে দেশীয় গণমাধ্যমের উন্মাদনা সম্পর্কে ড. দিলারা বলেন, ‘দেশের সংবাদ মাধ্যমে ভারতীয় নির্বাচনকেন্দ্রিক সংবাদগুলো দেখলে মনে হয় আমাদের বাঁচা মরা ভারতের ওপর নির্ভরশীল। জাতীয় বিষয় তুলে না ধরে গুরুত্বসহকারে ভারতের নির্বাচনের খবর পরিবেশন করা হচ্ছে।’ গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন যৌথ নদী কমিশনের সাবেক সদস্য তৌহিদুল আনোয়ার খান, পরিবেশবাদী সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, ঢাকা সেন্টার ফর ‘ল’ অ্যান্ড ইকোনোমিক্স’র প্রধান ব্যারিস্টার ফাতেমা আনোয়ার, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শ্যামা ওবায়েদ প্রমুখ।