র্যাব-১১তেই বহাল তবিয়তে মেজর শাহেদ ও এএসপি শাহরিয়ার
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ নারায়নগঞ্জের প্যানেল মেয়র ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ ৭ জনকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা ও চরম অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় র্যাব-১১’তেই বহাল তবিয়তে থেকে গেছেন মেজর শাহেদ হাসান রাজিব ও এএসপি মেহেদী শাহরিয়ার। শাহেদ র্যাব-১১’র সিপিসি-টু’এ কুমিল্লায় কর্মরত। রোববার তার বিরুদ্ধে কুমিল্লার একটি আদালতে লাকসামের সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপি সভাপতি সাইফুল ইসলাম হিরু ও পৌর বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কবির পারভেজ অপহরণ ও গুমের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এএসপি শাহরিয়ারের বিরুদ্ধেও উত্থাপিত হয়েছে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ। তিনি র্যাব-১১’র অপারেশন অফিসারের দায়িত্বের পাশাপশি এডজুটেন্টের দায়িত্বও পালন করছেন।
নারায়নগঞ্জের প্যানেল মেয়র ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ ৭ জনকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গত ২৯ এপ্রিল র্যাব ১১’র সিও লে.কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মাদ, মেজর আরিফ ও লে. কমান্ডার এম.এম আরিফকে র্যাব থেকে প্রত্যাহার করার হয়। এর ৭ দিন পর তারা (৫ মে) সেনা ও নৌবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত হন।
সকলকে শিগগিরই প্রত্যাহার করার হচ্ছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণায় সূত্রে জানা গেছে। এসব অভিযোগে গত ২৯ এপ্রিল র্যাব -১১’র সিওসহ তিন কর্মকর্তাকে র্যাব থেকে প্রত্যাহার করার পর তারা ৬ মে সেনা ও নৌ-বাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত হন।
অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে, গত বছর (২০১৩) থেকেই র্যাব-১১ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এর পর বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে গত তিন মাসে র্যাব-১১’র সিও চাকরি হারানো লে. কর্নেল তারেক সাঈদ, মেজর আরিফ হোসেন, লে, কমান্ডার এম.এম রানা এবং মেজর শাহেদ ও এএসপি শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, হত্যা-গুম, ভয় দেখিয়ে ব্যাক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপশি জমি দখলের অভিযোগ উত্থাপিত হয়। র্যাব-১১’র সাবেক সিও লে. কর্নেল তারেক সাঈদ, মেজর আরিফ হোসেন, লে, কমান্ডার এম.এম রানা নারায়নগঞ্জের চাঞ্চল্যকর ৭ হত্যা মামলায় বর্তমানে রিমান্ডে থাকলেও ধরা-ছোয়ার বাইরেই থেকে গেছেন নানা অভিযোগে অভিযুক্ত মেজর শাহেদ ও এএসপি শাহরিয়ার।