যুদ্ধাপরাধ আপিলে অগ্রাধিকার, অন্যান্য মামলা নিষ্পত্তিতে বাধা
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ আপিল বিভাগে যুদ্ধাপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হচ্ছে এবং একটি আপিল শুনানিতে দীর্ঘ সময় লাগে। ফলে আপিল বিভাগের অন্যান্য মামলা নিষ্পত্তিতে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন। রোববার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। খন্দকার মাহবুব বলেন, আমরা এর প্রতিবাদ করছি এবং আপিল বিভাগের বিপুলসংখ্যক মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য অবিলম্বে বিচারপ্রার্থীদের স্বার্থে আপিল বিভাগে শূন্যপদে বিচারক নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি। তিনি বলেন, বারবার দাবি করা সত্বেও সুপ্রিমকোর্টের জন্য একটি পৃথক সচিবালয়ের ব্যবস্থা করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, তারপরও যদি আপিল বিভাগে শূন্য পদগুলোতে বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়- তাহলে অনায়াশে তিনটি বেঞ্চ করে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব। অথচ সরকার কি কারণে আপিল বিভাগে যেসব দক্ষ ও যোগ্য সিনিয়র বিচারপতি রয়েছেন, স্বাভাবিকভাবে আপিল বিভাগের শূণ্য পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য। খন্দকার মাহবুব বলেন, তাই সরকার বিশেষ উদ্দেশ্য আপিল বিভাগের নিয়োগ বন্ধ রেখে হাইকোর্ট বিভাগের সিনিয়র বিচারপতিদের অবসরের অপেক্ষায় আছে। যাতে সরকার পছন্দমতো পরবর্তীতে হাইকোর্টের অপেক্ষাকৃত নবীন বিচারপতিদের নিয়োগ দেয়া যেতে পারে। তিনি বলেন, যার ফলে নিম্ন আদালতে কর্মরত প্রায় ১২শ’ জজ/ম্যাজিস্ট্রেট এর কার্যক্রম সুপ্রিমকোর্টের পক্ষে নজরদারি করা সম্ভব হয় না। খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, বর্তমানে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে প্রায় ১৫ হাজার এবং হাইকোর্টে তিন লাখ মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আপিল বিভাগ হতে তিনজন্ বিচারক অবসরে যাওয়ার ফলে আপিল বিভাগে ওই তিন বিচারকের পদ শূন্য রয়েছে। আপিল বিভাগে যদি ১১ জন বিচারক নিয়মিত কর্মরত থাকেন, তাহলে তিনটি বেঞ্চ করে দীর্ঘদিন আপিল বিভাগের অপেক্ষমান মামলা দ্রুত ণিস্পত্তি হতে পারে। তিনি বলেন, কিন্তু ইদানিং সংবাদপত্রে প্রকাশিত আইনমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী শূন্য পদে আপিল বিভাগের বিচারপতি নিয়োগ দিতে সরকার ইচ্ছুক নয় বলে জানিয়েছেন এবং তিনি বলেছেন, উচ্চ আদালতের বিচারকার্য্ ভালভাবে চলছে।