মাছ ব্যবসায়ী হত্যা, ৪ জনের ফাঁসি
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, বাগেরহাটঃ বাগেরহাটের সুন্দরবনে ইলিয়াস হাওলাদার নামে এক মাছ ব্যবসায়ীকে হত্যা মামলায় আদালত চার বনদস্যুকে ফাঁসি ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। এছাড়া মামলার বিচারকাজ চলাকালে এক আসামি মারা যাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। রোবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম সোলায়মান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণাকালে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত একজন ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিতি ছিলেন। ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হচ্ছে, আতাহার আলী ওরফে পরান বাবু, বাবুল ওরফে বাবুল গাজী, কামাল ওরফে কামাল সেখ ও বাচ্চু। তাদের মধ্যে আতাহার আলী ওরফে পরান বাবু ছাড়া অন্যরা পলাতক রয়েছেন। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছে, শহীদ সেখ, ইশারাত ওরফে এশা, ফরাদ মোল্যা, ফারুক, সানু ডাকুয়া ও আব্দুল হাকিম সেখ। তাদের মধ্যে সানু ডাকুয়া আব্দুল হাকিম ছাড়া অন্য চার আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। ফাঁসি ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের সবার বাড়ির বাগেরহাটের সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। আদালত ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত ছয় আসমিকে ২০১ ধারায় আরও পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারদাণ্ডাদেশ দেন। নিহত মাছ ব্যবসায়ী ইলিয়াস হাওলাদার বাগেরহাট জেলার মংলা উপজেলার আমড়াতলা গ্রামের আব্দুল মজিদ হাওলাদারের ছেলে। জানা গেছে, ১৯৯৮ সালের ১৯ নভেম্বর ইলিয়াস তার দুইজন সহযোগীসহ সুন্দরবন বিভাগ থেকে পাশ নিয়ে নৌকা যোগে সুন্দরবনের ভিতরে মাছের পোনা আহরণ করছিলেন। এসময় একদল বনদস্যু তাদের ওপর হামলা চালায় এবং তারা ওই দস্যুদের চিনতে পারে। দস্যুরা এসময় ইলিয়াস হাওলাদারকে গুলি করে হত্যার পর লাশ টুকরো টুকরো করে নদীতে ভাসিয়ে দেয়। ইলিয়াসের ওই দুই সহযোগী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়। এঘটনায় নিহতের ছেলে সাইফুজ্জামান প্রিন্স বাদি হয়ে ওই বছরের ২৫ নভেম্বর ১১ জন বনদস্যুকে আসামি করে মংলা থানায় একটি মামলা করেন। সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক মো. নজরুল ইসলাম ২০০২ সালের ৪ মে ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোপত্র দাখিল করেন।