র্যাবের বিরুদ্ধে আবারও হত্যার অভিযোগ
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ র্যাবের অত্যাচার ও নির্যাতনে শাহিনুর আলম নামে এক ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব ছোট হল রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন শাহীনুরের ছোট ভাই মাওলানা মেহেদী হাসান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, আমার ভাইকে ইতালী নেওয়ার নাম করে আমাদের পাশের গ্রামের আদম ব্যাপারী নজরুল ইসলাম ব্যাংকের মাধ্যমে সাত লাখ ২০ হাজার টাকা নেয়। ওই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য আমার বড় বোন নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্রাক্ষ্মণবাড়ীয়া থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে নজরুল টাকা না দেওয়ার জন্য ঢাকা জজ কোর্টে ও রামপুরা থানায় আমার এবং আমার বোনের নামে দুটি মিথ্যা মামলা করেন। আমাদের ধারণা, আদম ব্যাপারী নজরুল র্যাব-১৪ কে টাকা দিয়ে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। মেহেদী হাসান জানান, গত ২৯ এপ্রিল দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব র্যাব-১৪ এর সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার মেজর এ জেড এম শকিব সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ১২ জন র্যাব সদস্য সাদা পোষাকে ব্রাক্ষণবাড়ীয়া জেলার নবীনগর থানার বগডহর গ্রাম থেকে আমার ভাই শাহিনুর আলমকে আটক করেন। চোখ ও মুখ বেঁধে নবীনগর থানায় এনে র্যাবের গাড়িতে শুইয়ে রাখে। পরে সন্ধ্যায় ভৈরব র্যাব-১৪ এর কার্যালয়ে নিয়ে যায়। তিনি আরও অভিযোগ করেন, র্যাবের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার পর রাত ১১-১.৩০টা পর্যন্ত ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর সাকিব ছিদ্দিক আমার ভাইয়ের শরীরের নিম্নাঙ্গে এবং হাতের কুনুইয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে অত্যাচার করে। বুট জুতা দিয়ে কোমরে ও তলপেটে লাথি মারায় আমার ভাই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরদিন নবীনগর থানায় এনে ভাইসহ কয়েক জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মেহেদী হাসান বলেন, ‘অমানুসিক নির্যাতনের ফলে ৪ মে আমার ভাইকে কারা কর্তৃপক্ষ প্রথমে ব্রাক্ষ্মণবাড়ীয়া সদর হাসপাতালে এবং পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ মে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আমার ভাই মৃত্যুবরণ করে।’ তিনি বলেন, ‘আমার ভাই শাহনুর আলমের নামে কোনো থানায় ইতিপূর্বে কোনো মামলা ও জিডি ছিল না। আমাদের ভাইয়ের কোনো শত্রুও ছিল না। তাই এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’ সংবাদ সম্মেলনে শাহিনুরের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।