র্যাবের সেই ১৮ সদস্য পুনর্বহাল
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বিশেষ কারণ দেখিয়ে ব্যাটালিয়ন-৩ থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া র্যাবের ১৮ জন সদস্যকে আগের জায়গায় পুনর্বহাল করা হয়েছে। সোমবার আবারও তাদের র্যাব-৩ এ বিযুক্তি (পূর্বের পদে বহাল) করা হয়েছে এমনটাই এবিসি নিউজ বিডিকে নিশ্চিত করেছেন বাহিনীর লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক উইং কমান্ডার এটিএম হাবিবুর রহমান। রাজধানীর খিলগাঁওয়ে অবস্থিত র্যাব-৩ এর সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার মেজর আলী আহসানসহ ১৮ সদস্যকে গত রোববার সদর দফতরে সংযুক্তি করা হয়। তিনি জানান, একটি বিশেষ কারণে তাদের সদর দফতরে সংযুক্তি করা হয়। কাজ শেষে আবারও পুরনায় পূর্বের জায়গায় বিযুক্তি করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাদক ব্যবসার অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতারের পর তাদের কাছ থেকে যে টাকা উদ্ধার করা হয় তার চেয়ে কম টাকা জব্দ তালিকায় দেখানোর অভিযোগ ওঠে মেজর আলী আহসানসহ তার অধিনস্তদের বিরুদ্ধে। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৪ মে রাত ৩টার দিকে মুগদার মান্ডা এলাকা থেকে মাদক ব্যবসার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করে র্যাব-৩। গ্রেফতারকৃতদের নাম তানভির আহম্মেদ, সজিব, সোহাগ এবং মোহাম্মদ কামাল। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মুগদা থানায় বাদি হয়ে মামলা করেন র্যাবের এসআই সৈয়দ মাহমুদ। এজাহারে লিখেছেন, আটককৃতদের কাছ থেকে ২৬০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ৪ হাজার টাকা। এছাড়া তাদের কাছ থেকে নগদ ৩৭ হাজার ৮৮১ টাকা জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় র্যাবের অভ্যন্তরীণ তদন্তে অসঙ্গতি ধরা পড়লে র্যাব সদর দপ্তর থেকে তদন্ত করা হয়। তদন্ত করতে গিয়ে র্যাব-৩ অফিসে মেজর আলী আহসানের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা অতিরিক্ত জব্দ করার প্রমাণ পাওয়া যায়। যদিও জব্দকৃত সেই টাকা জমা দেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, গত রোববার রাতে এবিসি নিউজ বিডিতে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে র্যাব’র ১৮ সদস্য প্রত্যাহার শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর পরদিন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়েবসাইট ডিএমপি নিউজসহ একাধিক অনলাইন এবং দৈনিকে সংবাদটি প্রকাশ করে। এ নিয়ে র্যাব অভিযোগ অস্বীকার করে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানায়।