একরামুল হত্যায় আটক ২৩
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ফেনীঃ ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা একরামুল হককে গুলি করে ও পুড়িয়ে হত্যা করার ঘটনায় তাঁর ভাই রেজাউল হক জসিম বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে ফেনী মডেল থানায় মামলাটি করা হয়। মামলায় বিএনপির নেতা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ওরফে মিনার ও অজ্ঞাত ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
আজ সকাল নয়টায় ফেনী শহরের মিজান ময়দানে একরামুলের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজামউদ্দিন হাজারী, জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা ও ফেনী-১ আসনের সাংসদ শিরিন আক্তার, সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ জাহানারা বেগম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহমানসহ হাজারো মানুষ অংশ নেন।
দ্বিতীয় জানাজার জন্য লাশ ফুলগাজী পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে লাশ নিয়ে যাওয়া হবে উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের বন্দুয়া দৌলতপুরে। সেখানে তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হবে।
গতকাল বেলা ১১টার দিকে ফেনী শহরের একাডেমি সড়কে বিলাসী সিনেমা হলের কাছে গাড়ির ভেতর গুলি করার পর গাড়িসুদ্ধ পুড়িয়ে একরামুলকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
খবর পেয়ে ফেনীর পুলিশ সুপার পরিতোষ ঘোষসহ পুলিশের একটি দল ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভানোর পর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠান৷ বিকেলে ডিএনএ টেস্টের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত ১২টার পর লাশ ফেনীতে নিয়ে আসা হয়।
ফেনী শহরে পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি তিন প্লাটুন বিজিবির (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আটক ২৩
গতকাল রাতভর শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৩ জনকে আটক করা হয়। গতকাল দিবাগত রাতে ফেনীর বিরিঞ্চি এলাকা থেকে দুটি মোটরসাইকেল ও একটি প্রাইভেট কার উদ্ধার হয়। এগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। হত্যাকাণ্ডের কাজে গাড়িগুলো ব্যবহূত হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব মোরশেদ আজ বুধবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে এবিসি নিউজ বিডিকে এসব তথ্য জানান।