চারদিন নির্যাতনের পর স্ত্রীকে ন্যাড়া করে দিল স্বামী
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঠাকুরগাঁওঃ মাত্র আট মাস হলো খাদিজার বিয়ে হয়েছে। বিয়ের সময় স্বামীর হাতে এক লাখ ১৫ হাজার টাকা বুঝিয়ে দিয়েছেন খাদিজার বাবা। কারণ মেয়েটি যেন স্বামীর বাড়িতে সুখে শান্তিতে থাকতে পারে। কিন্তু যৌতুক হিসেবে এ টাকা যেন কম হয়ে গেছে খাদিজার স্বামীর। আরও টাকা চাই তার।
বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই আবারো খাদিজাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার চাপ দেন স্বামী মসিউর। কিন্তু খাদিজা তো বাবার অভাবের সব কথা জানে। সব কিছু জেনেও কীভাবে স্বামীর নতুন এই আবদারের কথা বাবাকে বলবে সে।
এক সময় মসিউরের আবদার আরো বাড়তে থাকে। কারণ তিনি ইতোমধ্যে জুয়ার নেশায় মত্ত। প্রায়ই রাতে জুয়া খেলে বাড়ি ফিরতেন তিনি। বাড়িতে এসেই খাদিজাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দিতেন। তবে এবার চাপ প্রয়োগ মারধর করে।
আস্তে আস্তে খাদিজার ওপর মসিউরের নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকে। গত চারদিন ধরে সামান্য ব্যাপার নিয়ে খাদিজাকে বেধড়ক পিটিয়েছেন মসিউর।
অবশেষে বুধবার সকালে টাকা আনার জন্য চাপ দেন। কিন্তু তার কথা রাজি হয়নি খাদিজা। এরপর খাদিজাকে মারধর করে অজ্ঞান অবস্থায় মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছে মসিউর।
প্রতিবেশীর কাছে মেয়ের মারধরের খবর পেয়ে মেয়ের বাড়িতে ছুটে আসেন বাবা-মা। এসে দেখেন মেয়ে বাড়ির মেঝেতে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পরে তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে খাদিজা সেখানেই চিকিৎসাধীন।
নির্মম এ ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বড়গাঁ ইউনিয়নের মোলানখুরি নিয়াজীপাড়া গ্রামে।
ওই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মসিউর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয় খাদিজার।
এ ঘটনায় খাদিজার বাবা জামাই মসিউর ও তার বাবা-মাকে আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, মামলা হয়েছে। আসামি ধরার চেষ্টা চলছে।