আইন প্রতিমন্ত্রীকে তারেক রহমানের নোটিস
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ কামরুল ইসলামকে উকিল নোটিস পাঠিয়েছেন তারেক রহমান, যাতে একটি বক্তব্যের জন্য প্রতিমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেকের নির্দেশে তার আইনজীবী কায়সার কামাল মঙ্গলবার এ নোটিস পাঠান।পাঁচ বছর ধরে যুক্তরাজ্যে থাকা খালেদা জিয়ার ছেলে গত সপ্তাহে লন্ডনে বিএনপির এক সভায় যোগ দিয়েছিলেন।
প্রবাসে প্রথম রাজনৈতিক সভায় তারেকের বক্তব্য দিয়ে সরকারি দলের নেতারা সমালোচনা করে আসছেন। এরকম এক বক্তব্য ধরে গত সোমবার পরিবেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদকে উকিল নোটিস দেন তারেক। এর একদিন পরই তা পাঠানো হলো আইন প্রতিমন্ত্রীকে।
কায়সার কামাল এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, “আইন প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, তারেক রহমান বিদেশে বসে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছেন। এর কোনো প্রমাণ নেই। এটা তারেক রহমানের জন্য অবমাননাকর।”
তিনি জানান, রেজিস্ট্রি ডাক ও কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আইন প্রতিমন্ত্রীকে এই নোটিস পাঠানো হয়েছে।
“আইন প্রতিমন্ত্রীকে এই ষড়যন্ত্রের অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে। তাকে এ জন্য দুই সপ্তাহ সময় দেয়া হয়েছে। এই বক্তব্য প্রত্যাহারের করে আইন প্রতিমন্ত্রীকে তারেক রহমানের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। নইলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
নোটিসে বলা হয়, তারেক রহমানকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় করতে এবং সমাজের সামনে তার খ্যাতি নষ্ট করতে প্রতিমন্ত্রী এই মন্তব্য করেছেন।
“এই কারণে আপনি ফৌজদারি ও দেওয়ানি আইনে অভিযুক্ত। তারেক রহমান গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় গণতান্ত্রিকভাবে জনগণের দ্বারাই সরকার পরিবর্তন হতে পারে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।”
লন্ডনের ওই সভার পর মুদ্রা পাচারের একটি মামলায় তারেককে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশ আনতে পরোয়ানা জারি হয়েছে। আদালতের আদেশের আগেই আইন প্রতিমন্ত্রী এক সভায় বলেছিলেন, তারেক রহমানকে দেশে আনতে যা যা করার দরকার, তার সবই করা হবে। তবে মুদ্রা পাচারের মামলাটি কি তারেক রহমানকে দেশে আনার জন্যই? প্রতিমন্ত্রীর ওই বক্তব্য উল্লেখ করে বিএনপি অভিযোগ করছে, ওই গ্রেপ্তারি পরোয়না ‘রাজনৈতিকি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’; যদিও মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশন ওই অভিযোগ নাকচ করেছে।
তারেকের বিরুদ্ধে পরোয়ানা এবং সব মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বুধবার সারাদেশে হরতাল ডেকেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। মঙ্গলবারও ১০ জেলায় হরতাল ডাকে বিএনপি।
জরুরি অবস্থার সময় গ্রেপ্তার তারেক উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যে যান। এক ডজনেরও বেশি মামলা মাথায় নিয়ে স্ত্রী-সন্তানসহ তিনি এখনো সেদেশে রয়েছেন।
সংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কায়সার কামাল বলেন, তারেক জামিন নিয়ে লন্ডনে গিয়েছিলেন, প্যারোল নিয়ে যাননি। “প্যারোলে উনি কখনোই ছিলেন না,” বলেন এই আইনজীবী।
তারেক রহমান কবে ফিরবেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকরাই বলতে পারবেন কবে তার ফেরা হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘অচিরেই’ দেশে ফিরে দলের দায়িত্ব নেবেন তারেক রহমান।