ধর্ষণ মামলায় জামিনে মুক্ত অঙ্কিত

Ongkit tiowari অঙ্কিত তিওয়ারিবিনোদন ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ধর্ষণ মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন ‘আশিকি ২’খ্যাত সংগীত তারকা অঙ্কিত তিওয়ারি। গত বৃহস্পতিবার ২০ হাজার রুপি মুচলেকার বিনিময়ে তাঁকে জামিনে মুক্তি দিয়েছেন বিচারক ভি এম মোহিত।

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ও ৫০৬ ধারায় অঙ্কিত তিওয়ারিকে ৮ মে গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। কিন্তু অঙ্কিত নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ধর্ষণ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে তাঁকে। জামিনে মুক্তিরও আবেদন করেন ২৪ বছর বয়সী অঙ্কিত। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০ হাজার রুপি মুচলেকার বিনিময়ে তাঁকে জামিনে মুক্তি দিয়েছেন বিচারক ভি এম মোহিত।

বিজ্ঞাপন সংস্থায় কর্মরত এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৮ মে গ্রেপ্তার হন অঙ্কিত। অভিযোগকারীকে হুমকি দেওয়ায় অঙ্কিতের ভাই অঙ্কুরকেও গ্রেপ্তার করা হয়। অবশ্য ওই দিনই জামিনে মুক্তি পান অঙ্কুর। ২৬ মে পর্যন্ত ‘আশিকি ২’ ছবির ‘শুন রাহা হ্যায়’ গানের সুরকার, সংগীত পরিচালক ও গায়ক অঙ্কিতকে আটক রাখার আদেশ দেন আদালত। কিন্তু নির্ধারিত তারিখের আগেই জামিনে মুক্তি পেলেন তিনি।

এদিকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারী ওই তরুণী। এ প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য, ‘আমার নিজের জীবনের পাশাপাশি আমার মেয়ের জীবন নিয়েও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমি। এ জন্য আমি পুলিশি নিরাপত্তা চাইব।’

মুম্বাইভিত্তিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘মিড-ডে’র সঙ্গে একান্ত সাক্ষাত্কারে ২৮ বছর বয়সী ওই তরুণী দাবি করেছেন, চুপ না থাকলে ধর্ষণের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করবেন বলে হুমকি দিয়েছিলেন অঙ্কিত। এ প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য, ‘২০১২ সালের অক্টোবরে দুর্গাপূজার সময় অঙ্কিতের সঙ্গে আমার প্রথম সাক্ষাত্ হয়। এরপর আরও পাঁচ-ছয়বার আমাদের মধ্যে দেখা-সাক্ষাত্ হয়। একদিন মুম্বাইয়ের একটি কফি শপে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন অঙ্কিত। আমি তাঁকে জানাই, আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠা সম্ভব নয়। কারণ আমি ডিভোর্সি এবং আমার একটি মেয়েও আছে। কিন্তু তিনি তাঁর পরিবারের সদস্যদের বুঝিয়ে আমাকে বিয়ে করবেন বলে কথা দেন। অথচ অঙ্কিত এখন বলছেন, আমার ডিভোর্স ও সন্তান থাকার কথা নাকি আমি তাঁর কাছে গোপন রেখেছিলাম।’

ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধে গ্রেপ্তার হওয়ার পর এক বিবৃতিতে অঙ্কিত নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেছিলেন, ‘আমাদের মধ্যে বছর খানেক প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এমনকি তাকে আমি আমার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পরিচয়ও করিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু একপর্যায়ে আমরা জানতে পারি, সে ডিভোর্সি এবং তার সন্তানও আছে। বিষয়টি জানার পর তার সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে নিষেধ করেন আমার অভিভাবকেরা। ডিভোর্স ও সন্তান থাকার কথা গোপন রেখে সে আমার সঙ্গে প্রতারণা করায় আমি প্রেমের সম্পর্কের ইতি টানি। মূলত এ কারণেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণের মামলা করেছে সে। তার সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’

এ মামলা সম্পর্কে পুলিশ ইন্সপেক্টর মাচিন্দ্র ভাদখে জানিয়েছেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে পুলিশের কাছে লিখিত আকারে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই তরুণী। মার্চ মাসে অঙ্কিতের বিরুদ্ধে এফআইআর তালিকাভুক্ত করা হয়।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ