সোহেলের নির্দেশে একরামুল খুন হন
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ রুটি সোহেলের নির্দেশে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হককে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যাবের হাতে আটক আবিদুল ইসলাম ওরফে আবিদ। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় র্যাব সদর দপ্তরে র্যাবের আনুষ্ঠানিক সংবাদ ব্রিফিংয়ের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আবিদের দাবি, মূলত রুটি সোহেলের নির্দেশে তাঁরা এ কাজটি করেছেন। তিনি নিজে গুলি করেননি। ফাঁকা গুলি ছোড়েন তিনি। আরিফ, সোহেল, পাঙ্খু আরিফ গুলি করেন একরাম চেয়ারম্যানকে। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন। তিনি জানান, নিজাম হাজারী তাঁর ফুফাতো ভাই। তাঁর মা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
অন্যদিকে র্যাবের হাতে আটক মো. শাহজালাল উদ্দিন ওরফে শিপন সাংবাদিকদের বলেন, ওই দিন সকাল ১০টার দিকে ছাত্রলীগের একটি শো ডাউনের কথা বলে তাঁদের ওই এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁরা ৫০-৬০ জন সেখানে যান।
এর আগে বেলা দুইটায় র্যাবের সদর দপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আটজনকে আটকের তথ্য জানানো হয় র্যাবের পক্ষ থেকে। এ সময় বক্তব্য দেন র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার হাবিবুর রহমান। হাবিবুর রহমান দাবি করেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে একরামুল হক হত্যাকাণ্ডের অন্যতম পরিকল্পনাকারী আবিদুল ইসলাম আবিদসহ সাতজনকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে গতকাল রাতে আটক করে র্যাব-১-এর একটি দল।
আটক ব্যক্তিরা হলেন আবিদুল ইসলাম ওরফে আবিদ, জাহিদুল ইসলাম ওরফে সৈকত, চৌধুরী মো. নাফিজ উদ্দিন ওরফে অনিক, কাজী শানান মাহমুদ, মো. সাজ্জাদুল ইসলাম পাটোয়ারী ওরফে সিফাত, মো. শাহজালাল উদ্দিন ওরফে শিপন ও হেলাল উদ্দিন। তাঁদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী র্যাব-৭-এর একটি দল আজ ভোররাতে ফেনীর রামপুর এলাকা থেকে মো. জাহিদ হোসেনকে আটক করে।
র্যাবের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জিহাদ চৌধুরী একরামুল হককে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এরই অংশ হিসেবে ১৯ মে রাতে সালাম জিমনেশিয়ামের একটি কক্ষে জিহাদ চৌধুরীর নেতৃত্বে আরও কয়েকজনের উপস্থিতিতে একরামুলকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঘটনার দিন সকাল আটটার দিকে তাঁরা সবাই শহরের অ্যাকাডেমি এলাকায় অবস্থান নেন। পরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।