খালেদা জিয়ার রিটে বিভক্ত আদেশ
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বিচারিক আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে এবং বিচারক নিয়োগের বিষয়ে গেজেট জারি না করার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা রিট আবেদনের বিষয়ে বিভক্ত আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রিটের শুনানি শেষে রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিভক্ত আদেশ দেন। আদেশে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব বিচারক নিয়োগ ও তার এখতিয়ারের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। পাশাপাশি মামলার কার্যক্রম তিনমাসের জন্য স্থগিত করেন তিনি। অন্যদিকে বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দেন। ফলে রিট আবেদনটি নিষ্পত্তির জন্য এখন প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হবে। রিটের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেওয়া ব্যারিস্টার মাহবুব উ্দিন খোকন জানান, হাইকোর্ট বিভক্ত আদেশ দেওয়ায় রিটের নথিসহ প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হবে। প্রধান বিচারপতি তৃতীয় আরেকটি বেঞ্চ নির্দিষ্ট করে দিলে সেখানে পুনরায় এর শুনানি হবে। গত ১৯ মার্চ এ দুই মামলায় খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ নয়জনের বিরুদ্ধে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করেন। ওই দুটি মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদন গত ২৩ এপ্রিল খারিজ করেন হাইকোর্ট। ফলে বিচারিক আদালতে ফের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু এরই মধ্যে ৭ মে নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চলমান এ দুই মামলা বিচারে জন্য বিশেষ জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়। এরপর খালেদা জিয়া বিশেষ জজ আদালতে দুই মামলা স্থানান্তর প্রক্রিয়া এবং বিচারক নিয়োগের বিষয়ে গেজেট জারি না করার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে রিটটি দায়ের করেন। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রাজধানীর রমনা থানায় দুদক মামলাটি দায়ের করে। এ মামলায় ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।