না.গঞ্জ-ফেনীর ঘটনায় ১৪ দল উদ্বিগ্ন: নাসিম
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ, ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে অপরাধ সংগঠিত হয়েছে তাতে ১৪ দল উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় শামীম ওসমান ও ফেনীর ফুলগাজীর উপজেলা চেয়ারম্যান একরাম হত্যার ঘটনায় জয়নাল হাজারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এ সম্পর্কে ১৪ দল কি মনে করে এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘অপরাধী অপরাধীই। অপরাধের রাজনৈতিক কোনো সংজ্ঞা নেই। সরকার, দল ও দলের বাইরে যেই হোক না কেনো তার বিচার হবে।’ তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ, ফেনীসহ বিভিন্ন জায়গাতে কয়েকটি অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। এই ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। তবে এগুলো অপরাধ। অপরাধিদের বেলায় আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট। যেই অপরাধ করবে সে নেতা হোক আর সাধারণ কেউ হোক সবার বিরুদ্ধে একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশেই না। বিভিন্ন উন্নত দেশেও এই ধরেনের অপরাধ হয়ে থাকে। আমাদের দেশে সাম্প্রতিক ঘটনায় সেনাবাহিনীর সদস্যদের নাম আসার পরও তাদের চাকরিচ্যুত করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।’ কঠোরভাবে এসকল ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানান ১৪ দলের এই মুখপাত্র। এক প্রশ্নের জবাবে নাসিমের কথা কেড়ে নিয়ে ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘সাম্প্রতিক ঘটনায় ইতিমধ্যে সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। অপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে সরকার জিরো টলারেন্স দেখাবে।’ ‘এই সরকার পঁচে গেছে। আরও পঁচে গেলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন’-খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে নাসিম বলেন, ‘তার মানে তিনি চান আইনশৃংখলা পরিস্থিতির আরো অবনতি হোক।’ নাসিম বলেন, ‘খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে কোনো হত্যাকাণ্ড এমনকি তার নিজের স্বামীর হত্যারও বিচার করেননি।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপির এক নেতা বলেছেন সংবিধান ছুঁড়ে ফেলে দেবে। কোন রাজনৈতিক নেতার এমন কোনো কথা বলা উচিত না। তারা কিছু থেকে কিছু হলেই সংবিধান ও পতাকার উপর আঘাত করেন।’ ভারতের সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানিয়ে ১৪ দলের মুখপাত্র বলেন, ‘আশা করবো বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা চুক্তিসহ যে অমিমাংসিত বিষয় আছে সেগুলো সমাধানের জন্য নরেন্দ্র মোদি এগিয়ে আসবে।’ উত্তরবঙ্গের পরিবহন ধর্মঘট আহ্বানকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা জনগণকে কষ্ট দিয়ে দাবি আদায় করবেন না। আপনাদের সমস্যাগুলো শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করেন।’ বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বি এম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমনা মল্লিক, তরীকত ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এম এ আওয়ালসহ ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ।