একরাম হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার আরও ৪
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ফেনীঃ ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হককে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে র্যাব ও পুলিশ বিভিন্ন স্থান থেকে আওয়ামী লীগ নেতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ ও র্যাব হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি পিস্তল উদ্ধার করেছে। ফেনী থানার ওসি মো. মাহবুব মোর্শেদ জানান, মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ফেনী শহরের মিজান রোডের ভাষা শহীদ সালাম কমিউনিটি সেন্টার থেকে একটি বিদেশী পিস্তল ও চার রাউন্ড গুলী উদ্ধার করে। এ ছাড়া সদর উপজেলার কাজীরবাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফকেও গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার সকালে তাকে কাজীরবাগের রানীরহাট থেকে গ্রেফতার করা হয়। অপরদিকে ফেনীর মহিপালে র্যাব-৭ এর অধীন অস্থায়ী ক্যাম্পে গতকাল দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ক্যাম্প অধিনায়ক মেজর মহিউদ্দিন জানান, র্যাবের একটি দল গোপনে খবর পেয়ে গাজীপুর জেলা থেকে সোমবার রাতে মীর হোসেন স্বপন ও জাহিদুল ইসলাম নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করে। তাদের বাড়ি ফেনী শহরের বিরিঞ্চি এলাকায়। রাতেই তাদের ফেনী থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তাদের কাছে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে র্যা ব ফেনী ক্যাম্পের সদস্যরা বিরিঞ্চি এলাকা থেকে সোমবার গভীর রাতে আবুল হাশেমের ছেলে সজিবকে আটক করে। তার কাছ থেকে একরাম হত্যায় ব্যবহৃত একটি অত্যাধূনিক বিদেশী পিস্তল (৭.৬৫, মেড ইন ইউএসএ) উদ্ধার করে র্যাব। র্যাব জানায়, জাহিদ চৌধুরির ঘনিষ্ট বাল্যবন্ধু বিরিঞ্চির জাহিদুল ইসলামের কাছে ঘটনার পর জাহিদ চৌধুরি অস্ত্রটি রাখতে দিয়েছিল। কিন্তু জাহিদুল ইসলাম পরে আবার বিরিঞ্চির সজিবের কাছে অস্ত্রটি হেফাজতে রাখতে দেয়। মঙ্গলবার রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সজিবকে ফেনী থানায় হস্তান্তর করেনি র্যাব। তবে অধিনায়ক জানান, তার নামে অস্ত্র মামলার প্রস্তুতি চলছে। রাতেই তাকে ফেনী থানায় সোপর্দ করা হবে। এদিকে সন্ধ্যায় ফেনীর জেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ খাইরুল আমিনের আদালতে মীর হোসেন ও জাহিদুল ইসলামের প্রত্যেককে সাত দিন করে রিমান্ড দেয়। তবে এসময় আদালতের বাইরে স্বপন ও জাহিদুলের স্বজনরা সাংবাদিকদের জানান, স্বপন ও জাহিদুলকে গাজীপুর নয়, তাদের কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তারা গত ২৩ মে বেড়াতে কক্সবাজারে পরিবার নিয়ে গিয়েছিল এবং হোটেল গ্রীন প্যালেসে উঠেছিল।