পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, বগুড়াঃ বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের পর রাজশাহী বিভাগেও পরিবহন ধর্মঘট আগামী ৭ জুন পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। ছয় দফা দাবি আদায়ে রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় ডাকা পরিবহন ধর্মঘট স্থগিতের পর থেকেই রাস্তায় গাড়ি চলতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় বগুড়ায় পরিবহন সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা শেষে রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক শামছুল আলম পিটার এ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এবং মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে বৈঠক হয়। বৈঠক ফলপ্রসূ হওয়ায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আমাদের ধর্মঘট তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানান। পিটার বলেন, ‘আগামী ৭ জুন পর্যন্ত প্রশাসনকে ছয় দফা মেনে নেওয়ার সময় দেওয়া হল। এ সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে আবারও পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘আগামীতে সারাদেশের মোটর মালিক গ্রুপ ও শ্রমিক ইউনিয়নকে এ দাবির সঙ্গে একাত্ব করা হবে। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে প্রয়োজনে আগামীতে সারাদেশে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হবে।’ এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে পরিবহন ধর্মঘট স্থগিতের কথা জানান ময়মনসিং জেলা মটর মালিক সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিভাগীয় মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আলোচনায় তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট আগামী ২৯ মে পর্যন্ত স্থগিত করে।’ এরপর সন্ধ্যা থেকে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল এবং ঢাকা উত্তর ও গাজীপুরে বাস চলাচল শুরু হয়। নেত্রকোনার জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহার এবং সড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধসহ সাত দফা দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়। এছাড়া বৃহস্পতিবার নেত্রকোনায় বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিকদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধর্মঘটের ডাক দেয় ঢাকা বিভাগীয় উত্তরাঞ্চলীয় মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। অন্যদিকে, অবৈধ যানবাহন ও চাঁদাবাজি বন্ধসহ ছয় দাবিতে গত রোববার থেকে রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়। টানা তিন দিন ঢাকার সঙ্গে এসব জেলার যান চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা।