স্বস্তিকার আত্মহত্যার চেষ্টা !
বিনোদন ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ২৪ মে ভোরবেলা ক্ষত-বিক্ষত হাত নিয়ে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হন ‘ভূতের ভবিষ্যত’ খ্যাত অভিনেত্রী স্বস্তিকা। প্রায় ১ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের পর তার অবস্থার উন্নতি ঘটে। চিকিৎসকরা বলছেন এখন ঝুঁকিমুক্ত হলেও স্বস্তিকার কবজির বেশ কিছু টিসু ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এ ঘটনায় টালিউডজুড়ে জোর গুঞ্জন চলছে যে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এই অভিনেত্রী। যদিও এই গুজবে একেবারেই উড়িয়ে দিয়ে স্বস্তিকার বোন অজপা মুখার্জি বলছেন একটি পার্টিতে পড়ে গিয়ে আহত হন তিনি। কিন্তু আসল ঘটনাটা কি?
ভারতীয় দৈনিক টাইমস অফ ইন্ডিয়া নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে বলছে, ঘটনার দিন রাতে ‘প্রেমিক’ পরিচালক সুমন মুখোপাধ্যায়ের সাথে এক পাঁচ তারা হোটেলে দেখা করেন স্বস্তিকা। দুজনের কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে বাকবিতণ্ডায় রূপ নিলে সুমন চলে যান। এরপর স্বস্তিকা রাগের বশে একটি কাঁচের বোতল ভেঙ্গে নিজের হাত ক্ষত বিক্ষত করেন। এ অবস্থাতেই এক বন্ধুকে ফোন করেন। সেই বন্ধু ঘুমিয়ে থাকায় ফোন ধরতে না পারলে ঘুম থেকে উঠে মিসড কল দেখে হোটেলে ছুটে যান। পরে হোটেল কর্তৃপক্ষের সহায়তায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
একই সূত্র থেকে আরও জানা গেছে, স্বস্তিকার রাগ সবসময়ই একটু বেশি। বিভিন্ন সময়ে পরিচালকরা তার অতিরিক্ত রাগের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছেন। রাগ নিয়ন্ত্রণে কোনো মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেয়ার পরামর্শও তাকে দিয়েছেন বন্ধুরা।
২১ মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে স্বস্তিকা একটি স্ট্যাটাস দেন, “প্রেমে পড়বারও একটা সীমা আছে কারণ হৃদয়েরও বিশ্রাম দরকার।”
১৯৯৮ সালে অভিনেতা সন্তু মুখার্জির মেয়ে স্বস্তিকা মুখার্জির বিয়ে হয় রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সাগর সেনের ছেলে প্রমিত সেনের সঙ্গে। ১৮ বছর বয়সে হওয়া সেই বিয়ে টেকে মাত্র দুই বছর। প্রমিত ও স্বস্তিকার মেয়ে অন্বেষার জন্ম হয় ২০০০ সালে। একমাত্র মেয়েকে নিয়ে এখন একাই থাকেন স্বস্তিকা।
২০০৩ সালে বড় পর্দায় আসার পর থেকেই স্বস্তিকার সঙ্গে জড়াতে থাকে একের পর এক নাম। অভিনেতা জিৎ, রিচালক সৃজিত মুখার্জি, অভিনেতা পরমব্রত চ্যাটার্জি, অভিনেতা দিব্যেন্দু মুখার্জি এবং সবশেষে পরিচালক সুমন মুখোপাধ্যায়ের নাম শোনা যায়।