অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে ড. কামালের বক্তব্য দুপুরে
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন সংক্রান্ত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটে হাইকোর্টের ঘোষিত এ্যামিকাসকিউরি হিসেবে ড.কামাল হোসেন তার বক্তব্য উপস্থাপন করবেন আজ। বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার পরে তিনি তার বক্তব্য উপস্থাপন করবেন বলে এবিসি নিউজ বিডিকে নিশ্চিত করেন রিটকারী আইনজীবী হাসান এমএস আজিম। আইনজীবী বলেন, ‘এর আগে বুধবার দুপুরে ড.কামাল হোসেন তার লিখিত বক্তব্য আদালতে দাখিল করেছেন। ওই বক্তব্যই তিনি আজ আদালতে পেশ করবেন।’ এর আগে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা সংক্রান্ত ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের এ্যামিকাসকিউরি (আদালতের বন্ধু) হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপন করার জন্য ড.কামাল হোসন, এম আমির-উল ইসলাম, রফিক উল হক, মওদুদ আহমদ, রুকন উদ্দিন মাহমুদ, আজমালুল হক কিউসি ও সুজনের বদিউল আলম মজুমদারের নাম বলে দেন। তাদের বক্তব্য শোনার জন্য আদালত তাদেরকে বন্ধু হিসেবে এ্যামিকাসকিউরি ঘোষণা করেন। এর আগে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় একক প্রার্থীকে নির্বাচিত করার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯ ধারা কেনো সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারির আদশে দেন। রুলে ১০ দিনের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদসচিব, আইনসচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিবকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। ২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার আবদুস সালাম সুপ্রিমকোর্টে রিট আবেদনটি করেন। পরে ওই রিটের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয় ১৬ ফেব্রুয়ারিতে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হাসান এম এস আজিম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আল আমীন সরকার। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯ ধারা অনুসারে, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর বা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর একক প্রার্থী থাকলে তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা যায়। এটি সংবিধানের ৭, ১১, ২৭, ৩১, ৬৫ (২), ১২১ ও ১২২ (২) অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।