খালেদা ও তারেককে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে: ফখরুল

mirja fakrul islam mirza fakhrul fokrul মির্জা ফখরুল ইসলামসিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতে অতীতেও ষড়যন্ত্র হয়েছিল এখনও হচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জিয়াউর রহমানকে হত্যার মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী দর্শনকে মুছে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। সেই শক্তির ধারকরা এখন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার ষড়যন্ত্র করছে।
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জিয়াউর রহমানের ৩৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকীর আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, জিয়া একটি দর্শন দিয়েছিলেন। যত যা কিছু করেন না কেন শহীদ জিয়াকে মানুষ বুকে ধারণ করেছে। যত ষড়যন্ত্রই করা হোক না কেন তার নাম মুছে ফেলা যাবে না।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমানের আদর্শ, সংগ্রাম, দর্শনকে উপজীব্য করে লড়াই করতে হবে। স্বাধীন ও স্বার্বভৌমত্বের প্রশ্নে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্ক করে লাভ নেই। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন, এটা প্রমানিত।

তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে শারমিন আহমদও তার বইয়ে লিখেছেন শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষনা দিতে চাননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাজউদ্দীন আহমদ স্বাধীনতা ঘোষণার খসড়া ও টেপ রেকর্ডার নিয়ে গেলেও তিনি (শেখ মুজিবুর রহমান) ২৭ তারিখ হরতাল দেওয়ার কথা জানিয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাতে পরামর্শ দেন।

দেশ কঠিন সময় পার করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অবৈধ ও স্বঘোষিত’ সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে জগদ্দল পাথরের মতো দেশের জনগণের ওপর চেপে বসেছে।

র‌্যাবের ভালো কাজগুলোর উদাহরন টেনে অনেকে এ বাহিনীর সংস্কারের পক্ষে কথা বলছেন। এ প্রসঙ্গ ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, র‌্যাবের সব সাফল্যই হয়েছে বিএনপির আমলে। কারণ, দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনে র‌্যাব সৃষ্টি করা হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে এ বাহিনীকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমন, হত্যা, গুমের কাজে ব্যবহার করেছে। সেজন্য বিএনপি এর বিলুপ্ত দাবি করেছে।

দেশ দম বন্ধ করা পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, এ অবস্থার উত্তরণে বর্তমান সরকারকে হটিয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার গঠন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, অর্থনীতি দিন দিন রসাতলে যাচ্ছে। এই সরকারকে সরাতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মঞ্চে নয় দর্শকদের সাড়িতে বসে জিয়াউর বার্ষিকীর আলোচনা শুনছেন।
আলোচনা সভায় উপস্থিত আছেন বিকল্পধারার সভাপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, এলডিপির চেয়ারম্যান কর্ণেল অব. অলি আহমদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আর এ গনি, এমকে আনোয়ার, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, সেলিমা রহমান প্রমুখ।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ