রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিধানকে চ্যালেঞ্জ
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যেকোনো সাজাপ্রাপ্তকে রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করতে পারবে এমন বিধানকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট করেছেন আইনজীবী মঞ্জিল মোরশেদ। রোববার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে তিনি এ রিট করেন। সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত যেকোনো দণ্ডের মার্জনা, বিলম্বন ও বিরাম মঞ্জুর করিবার এবং যে কোনো দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করিবার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকিবে।’ সাংবিধানকভাবে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিধানকে কেন বৈষম্যমূলক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘোষণা করা হবে তা জানতে চেয়ে রুল জারিরও আবেদন করা হয়েছে। মনজিল মোরসেদ বলেন, সংবিধানের ২৬ (১) অনুচ্ছেদে বলা আছে ‘এই ভাগের বিধানাবলীর সহিত অসামঞ্জস্য সকল প্রচলিত আইন যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, এই সংবিধান-প্রবর্তন হইতে সেই সকল আইনের ততখানি বাতিল হইয়া যাইবে।’ ‘এবং ২৬(২) রাষ্ট্র এই ভাগের কোনো বিধানের সহিত অসমঞ্জস্য কোন আইন প্রণয়ণ করিবেন না এবং অনুরূপ কোন আইন প্রণীত হইলে তাহা এই ভাগের কোন বিধানের সহিত যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, ততখানি বাতিল হইয়া যাইবে।’ সুতরাং রাষ্ট্রপতির এ বিধান মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী হওয়ায় তা বাতিল হয়ে যাওয়ার কথা। আইনজীবী বলেন, বিচার বিভাগ কাউকে সাজা দিলো, অথচ রাষ্ট্রপতি তাকে ক্ষমা করে দিলেন- তাহলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকল কোথায়। তিনি বলেন, এ বিধানটি মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। এছাড়া বিচার পাওয়ার অধিকার সবাই আছে। বিচার বিভাগ কাউকে শাস্তি দিলেন, রাষ্ট্রপতি যদি তাকে ক্ষমা করে দেন, তাহলে অন্যজন বিচার থেকে বঞ্চিত হবে। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসটেটিভ অ্যান্ড ড্রাফটিং বিভাগের সচিব এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।