সচ্ছতা নিশ্চিত করতে বৈদেশিক অনুদান আইনের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ দেশের এনজিও ও সেচ্ছাসেবী সংঘঠনগুলোর সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বৈদেশিক অনুদান (সেচ্ছাসেবী কার্যক্রম) রেগুলেশন আইন ২০১৪’র খসড়ার নীতিগত এবং চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সামরিক শাসন আমলে জারি করা এই আইন সংশোধন করে এর খসড়া আজ মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হয়। এছাড়া মন্ত্রিসভা জাতীয় বীমা নীতি ২০১৪’র খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১০টায় শুরু হওয়া মন্ত্রিসভার এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, সামরিক শাসন আমলে বৈদেশিক অনুদান (সেচ্ছাসেবী কার্যক্রম) রেগুলেশন আইন জারি করা হয়েছিল। তখন এই আইনটি ইংরেজিতে করা হয়েছিল। এখন এই আইন বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আইনে বেশ কিছু সংশোধন আনা হয়েছে।
মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা বলেন, এই আইনের সংশোধিত খসড়া আজ মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হয়। মন্ত্রিসভা এ আইনের চুড়ান্ত অনুমোদন দেয়।
তিনি বলেন, এই আইন অনুমোদনের পর থেকে আর কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন না করে এনজিও পরিচালনা করতে পারবে না। বিদেশী অনুদানের ক্ষেত্রে সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। এর ব্যাতিক্রম কিছু ঘটলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এই আইনে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, এই আইনে সরকারী আধা-সরকারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিবর্গ, বিচারপতি ও জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী ব্যক্তিরা এনজিও এবং বিদেশী অনুদান গ্রহন করতে পারবে না। এ ছাড়া কোন প্রকল্পের কাজ শুরুর আগে সরকারী অনুমোদন করে নিতে হবে। কোন বিদেশী ব্যক্তিকে এনজিওর উপদেষ্টা মনোনীত করতে হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে। বৈদেশিক অনুদানের সচ্ছ হিসাব বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
শাস্তির বিধানের কথা উল্লেখ করে মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা জানান, আইনে বর্নিত বিধান কেউ ভঙ্গ করলে প্রথমে শতর্ক করা হবে। এর পর অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাতিল করা হবে এবং একই সঙ্গে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
তিনি আরো বলেন, কোন এনজিও প্রতিষ্ঠান জঙ্গি সংগঠনকে অর্থায়ন করলে, নারী-শিশু পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকলে দেশের প্রচলিত আইনে বিচার হবে। মন্ত্রিসভায় জাতীয় বীমা নীতি ২০১৪’র খসড়ার অনুমোদন দেওয়ার কথাও জানান তিনি।