রানার আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

rana-rab-officer-300x199রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, নারায়ণগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জে পাঁচজনকে অপহরণ ও খুনের মামলায় র‌্যাব-১১-এর সাবেক কর্মকর্তা এম এম রানার তৃতীয় দফার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।আজ সোমবার নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এ এম মহিউদ্দিন রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

দুই দফা রিমান্ড শেষে বিকেল পাঁচটা ১০ মিনিটে রানাকে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তাঁকে তৃতীয় দফায় সাত দিনের জন্য রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ। এ আবেদনের শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলার ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ মণ্ডল জানান, এম এম রানা কাউন্সিলর নজরুলসহ পাঁচজনকে অপহরণ-খুন ও ইটভর্তি বস্তার সঙ্গে বেঁধে লাশ নদীতে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় জড়িত। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, প্রধান আসামি নূর হোসেনের মদদে রানা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। নূর হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। র‌্যাব-১১-এ কর্মরত অবস্থায় রানার সঙ্গে নূর হোসেনের সখ্য গড়ে ওঠে। প্রধান আসামি নূর হোসেনের সঙ্গে ‘ভিকটিম’ নজরুলের শত্রুতা ছিল। নূর হোসেনের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে রানা পাঁচজনকে অপহরণ ও খুন করেছেন। আগে রিমান্ডে থাকাকালে রানা যেসব তথ্য দিয়েছেন এবং সাক্ষীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য আরও নিবিড়ভাবে যাচাই-বাছাই করা প্রয়োজন। এ কারণে তাঁকে আরও সাতদিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়।

এদিকে আদালতে এম এম রানা নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। নূর হোসেনের সঙ্গে তাঁর সখ্য ছিল না। তিনি বলেছেন, নূর হোসেনের বাড়ি সিদ্ধিরগঞ্জে আর তিনি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ শহরের ক্যাম্প কমান্ডার। সিদ্ধিরগঞ্জ তাঁর ক্যাম্পের আওতাভুক্ত নয়। ফলে, নূর হোসেনের সঙ্গে তাঁর সখ্য গড়ে ওঠার কোনো কারণ নেই বলে দাবি করেন রানা।

নারায়ণগঞ্জের সাতজনকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় দুটি আলাদা মামলা দায়ের করা হয়। কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ পাঁচজনকে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় করা মামলার বাদী নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ