তারেকের কাছ থেকে ইতিহাস শিখছেন ফখরুল : হানিফ
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ তারেক রহমানের বক্তব্য সমর্থনের মাধ্যমে এটি প্রমাণ হয় যে মির্জা ফখরুল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতেন না। তারেক রহমানের কাছ থেকে তিনি এখন সেই ইতিহাস শিখছেন। এ মন্তব্য আওয়ামী লীগের যু্গ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের। বুধবার দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। হানিফ বলেন, একাত্তরে পাক সেনাদের কাছে মায়ের আতিথেয়তার কথা হয়তো তারেক ভুলে গেছেন। কারণ সেদিন তিনি শিশু ছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতাযুদ্ধে পরাজিত শক্তির প্ররোচনায় আজ তিনি লন্ডনে বসে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস প্রসঙ্গে বিভ্রান্তমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। একইসঙ্গে এ ইতিহাস সম্পর্কে মিথ্যাচারও করছেন। আর বিএনপির নেতারা তার বক্তব্যকে সমর্থন করছেন তাদের পদ ধরে রাখার জন্য। এতে প্রমাণ হয় বিএনপি নেতারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতেন না। এখন তারেক রহমানের কাছ থেকে শিখছেন। মির্জা ফখরুলও একই কাজ করছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, যখনই আমরা যুদ্ধপরাধী, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের অপরাধের বিচার শুরু করলাম, তখনই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি এই বিচার বন্ধ করার জন্য উঠেপড়ে লাগল। বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনের নামে তারা মানুষ হত্যা করা শুরু করল। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বন্ধেরও চেষ্টা করে এই শক্তি। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়ে এখন আবার নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। যার বহিঃপ্রকাশ লন্ডনে বসে তারেক রহমানের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে মিথ্যাচার। অথচ এই তারেক রহমান আইনের দৃষ্টিতে একজন ফেরারি আসামি। তিনি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যা বলছেন তা তার চিন্তা চেতনা নয়, স্বাধীনতা বিরোধীদের প্ররোচনা। আইন মন্ত্রণালয় এই বিষয়টিকে খতিয়ে দেখছে যে বিদেশে বসে একজন ফেরারি আসামি এ ধরনের কাজ করে দেশদ্রোহিতা করছে কিনা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে হানিফ বলেন, আপনারা দুইবার ক্ষমতায় ছিলেন। অথচ আপনাদের এই ক্ষমতাকালে জিয়াউর রহমান হত্যার বিচার করেননি কেন? পরে অনেক আশ্বাসও দিয়েছেন। কিন্তু আজ বাংলার মানুষ আপনাদের বিশ্বাস করে না। আপনারা এ বিচার করবেন কীভাবে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান বেনিফিশিয়ার হতে পারেন খালেদা জিয়া নিজেই। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রধান বেনিফিশিয়ার ছিলেন জিয়াউর রহমান। কারণ বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের আশ্রয় প্রশ্রয় তিনি দিয়েছিলন, শুধু আশ্রয়ই নয়, রাষ্ট্রক্ষমতায়ও অধিষ্ঠিত করেছিলেন। এসব কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে যে জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। এ ধরনের বিভ্রান্তমূলক তথ্য গ্রহণ না করার জন্য এবং সর্বদা সতর্ক থাকার জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এ বি এম মোজাম্মেল, খালেদ মাহমুদ চৌধুরী, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ।