তারেক সাঈদ ফের ৫ দিনের রিমান্ডে
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, নারায়ণগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় র্যাবের সাবেক কর্মকর্তা লে. কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদকে ফের ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। জেলার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইশতিয়াক আহমেদ বুধবার বিকেলে তার বিরুদ্ধে এ রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মামুনুর রশীদ মণ্ডল তার বিরুদ্ধে ফের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এছাড়া র্যাব কর্মকর্তা মেজর (অব.) আরিফ হোসেন বুধবার আদালতে ওই ঘটনায় তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে এম মহিউদ্দীনের আদালতে তিনি এ জবানবন্দি দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও জেলা সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘স্বীকারোক্তিতে মেজর (অব.) আরিফ নিজের সম্পৃক্ততার পাশাপাশি বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেছেন। তদন্তের স্বার্থে তা বলা সম্ভব নয়।’ এর আগে, ৩১ মে লে. কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ ও মেজর (অব.) আরিফ হোসেনকে তৃতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২২ মে হত্যা মামলায় ওই দুজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে দ্বিতীয় দফায় ৮ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ১৬ মে রাতে ঢাকা সেনানিবাস থেকে তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন ১৭ মে প্রথম দফায় তাদের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে একসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার এবং তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক ইব্রাহিম অপহরণের শিকার হন। ৩০ এপ্রিল বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ৬ জন এবং ১ মে সকালে একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় র্যাব-১১ এর কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ করেন নিহত নজরুলের পরিবারের সদস্যরা। নজরুল ইসলামের শ্বশুর অভিযোগ করেন, ৬ কোটি টাকার বিনিময়ে র্যাবকে দিয়ে ওই সাতজনকে হত্যা করিয়েছেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন।