মাহমুদুর রহমানকে হত্যার ষড়যন্ত্র চলছে
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ সরকার পরিকল্পিতভাবে কারবন্দী মাহমুদুর রহমানকে বিনা চিকিৎসায় রেখে নির্যাতনের মাধ্যমে তিলে তিলে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে দেশের জনগণ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোসহ বিশ্বসম্প্রদায়ের সহায়তা চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও আমার দেশ পরিবার। শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাইঞ্জে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ সহযোগিতা চাওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, মাহমুদুর রহমানের ঘাড়, কোমর ও পিঠে অসহ্য ব্যথা থাকায় তাকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ফিজিওথেরাপি দেওয়ার কথা থাকলেও আজ অবধি কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, গত ১৬ এপ্রিল আদালতের একটি নির্দেশনা থাকা সত্বেও কারা কর্তৃপক্ষ তাকে কোনো বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করেনি। এছাড়া ১৯ এপ্রিল পিজি হাসপাতালে নিয়ে গেলে ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর মাইনুজ্জামান তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। তার কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা তাকে ভর্তি না করে আবার কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়। আজ পর্যন্ত তার কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। মাহবুবু বলেন, বহুল আলোচিত স্কাইপি কেলেংকারি প্রকাশ করে কথিত যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে সরকারের কুৎসিত চেহারা মাহমুদুর রহমান প্রকাশ করে দিয়েছিলেন। এ কারণে ভিত্তিহীন ৬৭ টি মামলায় বিনা বিচারে তাকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। এছাড়া, বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তার জীবন রক্ষার্থে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাসহ অবিলম্বে তার মুক্তি ও আমার দেশ পত্রিকার প্রেস খুলে দেওয়ারও দাবি জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, সরকার মাহমুদুর রহমানকে কোনো সুনির্দিষ্ট কারণে আটক বা আমার দেশ বন্ধ করেনি। আওয়ামী লীগ সরকার একদলীয় শাসনে বিশ্বাস করে। তারা গণতন্ত্র চায় না। তাই এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করতে হবে। ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, মাহমুদুর রহমান একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি একটি প্রতিষ্ঠান। তাকে সরকার অন্যায়ভাবে জেলখানায় বন্দি রেখেছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই সরকার ইতোমধ্যে অন্যায়ভাবে আমার দেশের প্রকাশনা ইসলামিক ও দিগন্ত টিভি বন্ধ করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, এম এ আজিজ প্রমুখ।