কলেজ থেকে ছাত্রলীগের ১০ নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, সিলেটঃ সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ছাত্রদলের নেতা তাওহীদুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ছাত্রলীগের ১০ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এ ঘোষণার পর অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আগামীকাল রোববার নগরে ডাকা অর্ধদিবস হরতাল প্রত্যাহার করেছে মহানগর বিএনপি।
সাময়িক বহিষ্কার করা ছাত্ররা হলেন ছাত্রলীগের সভাপতি সৌমেন দে, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হাই, সাংগঠনিক সম্পাদক মুশফিকুজ্জামান আকন্দ, কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান, ফারহান পাঠান, অন্তর দীপ, আবু সাহান সাহিম, শরিফুল হাসান, জুবায়ের ইবনে খালেদ ও জহুর রায়হান। এঁরা সবাই কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।
বহিষ্কারের আদেশে বলা হয়েছে, ‘যেহেতু তাঁরা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি, তাই তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।’ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মোরশেদ আহমেদ চৌধুরী প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নগরের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে আগামীকালের পূর্বঘোষিত হরতাল বাতিল করেছে মহানগর বিএনপি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন নগর বিএনপির সভাপতি এম এ হক।
তিনি বলেন, ‘অভিযুক্তদের কলেজ থেকে বহিষ্কার করে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আগামীকালের নগরে অর্ধদিবস হরতাল ডাকা হয়েছিল। দাবির অংশবিশেষ পূরণ হওয়ায় আমরা হরতাল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এক সপ্তাহের মধ্যে অভিযুক্ত ছাত্রদের গ্রেপ্তার করা না হলে নতুন করে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।
৪ জুন সন্ধ্যায় ওসমানী মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র তাওহীদুল ইসলামকে হত্যা করা হয়। ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সদস্যদের হামলায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
তাওহীদুল নগরের স্টেডিয়াম এলাকাসংলগ্ন মেডিকেল কলেজের আবু সিনা ছাত্রাবাসে থাকতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলায়। তাওহীদুল কলেজ শাখা ছাত্রদলের আপ্যায়নবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন৷
ওসমানী মেডিকেল কলেজের আবু সিনা ছাত্রাবাসের একাধিক সূত্র জানায়, মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাওহীদুল ছাত্রলীগের নতুন কমিটির নেতা-কর্মীদের আক্রোশের মুখে পড়েন।
প্রায় এক সপ্তাহ তাঁকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হয়। গত বুধবার সন্ধ্যায় ছাত্রাবাসে গিয়ে তাওহীদুলকে ক্যাম্পাস ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এ সময় বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে রামদা দিয়ে কুপিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়।