নিজাম হাজারী কোন কর্তৃত্ব বলে সাংসদ?
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ নিজাম উদ্দিন হাজারী কোন কর্তৃত্ব বলে ফেনী-২ আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে আছেন—তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ আসনটি কেন শূন্য ঘোষণা করা হবে না—তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। আজ রোববার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের শুনানি নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের পাশাপাশি এ রুল দেন। নিজাম উদ্দিন হাজারীর কারাবাসের সময়ের প্রতিবেদন ও এ-সংক্রান্ত নথিপত্র ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইজি প্রিজন ও চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ জেল সুপারের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ১০ মে এবিষয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, দুই বছর ১০ মাস কম সাজা খেটেই কারাগার থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন ফেনী-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী। এ প্রতিবেদন যুক্ত করে ফেনী যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া রিট করেন। শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারির পাশাপাশি ওই আদেশ দেন। স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, আইনসচিব, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও নিজাম উদ্দিন হাজারীসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরশেদ। তিনি এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, সংবিধানের ৬৬ (২) অনুচ্ছেদে সংসদ সদস্যদের যোগ্যতার বিষয়ে বলা আছে। সাজা সংসদ সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে একটি অযোগ্যতা। পর্যালোচনায় দেখা যায়, তাঁর সাজা সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই তিনি সাংসদ হয়েছেন। এ কারণে রিটটি করা হয়।