পুলিশ হেফাজতে এক তরুণের মৃত্যু

pulishরিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ রাজধানীর খিলক্ষেত থানা পুলিশের হেফাজতে নেয়ার পর এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত হৃদয় (১৮) রাজধানীর নিকুঞ্জ টানপাড়ায় থাকতেন।

পুলিশ বলছে, হৃদয় মাদকসেবী ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে তার ভাই মো. আলামিন বলেছেন, বাসের চালকের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন হৃদয়। কোনো ধরনের মাদক সেবন করতেন না তিনি। তার বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগও ভিত্তিহীন।

খিলক্ষেত থানার ওসি শামীম হোসেন জানান, শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে খিলক্ষেত ওভারব্রীজের নিচে হৃদয় ছিনতাইয়ের চেষ্টা করছিল-অভিযোগ এনে এক ব্যক্তি তাকে সেখানে টহলরত র‌্যাব সদস্যদের হাতে তুলে দেয়। পরে র‌্যাব সদস্যরা থানা পুলিশের কাছে হৃদয়কে হস্তান্তর করে।

তবে ওই ব্যক্তির কোনো সন্ধান জানেন না বলে জানান তিনি।

ওসি বলেন, হৃদয়কে থানায় এনে হাজতে রাখা হয়। প্রায় এক  ঘণ্টা হাজতে থাকার পর তিনি বুকে ব্যথার কথা জানালে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

তিনি বলেন,  “হৃদয় ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। মাদক সেবনের কারণেই তিনি অসুস্থ হয়ে মারা যেতে পারেন।”

এদিকে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে হৃদয়কে হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জুয়েল বাড়ৈ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অন্যদিকে, হৃদয়কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া খিলক্ষেত থানার উপ-পরিদর্শক শাহনুর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, হৃদয় ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে গণপিটুনির শিকার হন।

রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে হৃদয়ের লাশ সনাক্ত করেন তার ভাই আলামিন।

হাসপাতালে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, হৃদয় বাসচালকের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কাজের উদ্দেশ্যে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে যান। পরে সে আর বাসায় ফিরে না আসায় তার খোঁজে বের হন। রাতে স্থানীয় র‌্যাব অফিসে গেলে তারা খিলক্ষেত থানায় খোঁজ নিতে বলেন। সেখানে গেলে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে এক তরুণের মৃত্যুর কথা জানানো হয়। এখানে এসে ভাইয়ের লাশ দেখতে পান তিনি।

তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নাকচ করে দেন আলামিন।

তিনি জানান, তাদের বাবা মো. চাঁন মিয়া পুলিশের চাকরি করতেন। চাকরি থেকে অবসর নেয়ার পর ২০০০ সালে মারা যান তিনি।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ