মিল্কি হত্যার চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি দিল পরিবার
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ এবিসি নিউজ বিডি’র সেই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি সত্য হলো। একটু পরে হলেও মিল্কি হত্যা মামলার চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি দিলো মিল্কির পরিবার। নিহত মিল্কির মা জাহানারা এরশাদ সোমবার মূখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে এই মামলার চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি প্রদান করেন। আদালত উভয় পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্যো শোনার পর এ বিষয়ে আগামী ১৭ জুন শোনানীর দিন ধার্য করেন। এ বিষয়ে গত ১৮ এপ্রিল এবিসি নিউজ বিডিতে ‘মিল্কি হত্যার চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি দেবে ক্ষুব্দ পরিবার’ শিরোনামে একটি অনুসন্ধ্যানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
জানা গেছে, মিল্কি হত্যা মামলার চার্জশিট থেকে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই প্রভাবশালী নেতা টিপু-আরিফকে বাদ দেওয়ায় ক্ষুব্দ হয় নিহতের পরিবার। এই চার্জশিটের বিরুদ্ধে মিল্কির পরিবারের পক্ষে তার মা জাহানারা এরশাদ আজ (সোমবার) আদালতে নারাজি প্রদান করেন।
এ বিষয়ে গত ১৮ এপ্রিল নিহত মিল্কির মা এবিসি নিউজ বিডিকে বলেছিলেন, তারা শিগগিরই র্যাবের দেওয়া চার্জশিটের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজির আবেদন জানাবেন। নিহতের ভাই মামলার বাদি মেজর রাশেদুল হক খান চার্জশিটের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া গ্রহন করবেন বলে জানিয়েছেন।
যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক খান মিল্কি হত্যায় গত ১৫ এপ্রিল র্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. কাজেমুর রশীদ ১১ জনকে আসামি আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। এতে মহানগর যুবলীগ উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চলকে এক নম্বর আসামি করা হয়। মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুল ইসলাম আরিফের নাম বাদ দেওয়া হয়।
নিহত মিল্কির মা জাহানারা এরশাদ বলেন, ‘তদন্তকারীরা তদন্ত করেছে। তবে আমাদের বক্তব্য নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি। পরিকল্পনামাফিকই তারা খুনি টিপু ও আরিফের নাম বাদ দিয়েছে।’ একটি পক্ষ মামলাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
নিহতের ভাই এই মামলার বাদি মেজর রাশেদুল হক খান প্রইমনিউজ.কম.বিডিকে বলেন, ‘চার্জশিট নিয়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের মতো আমিও সংক্ষুব্ধ। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা আইন পদক্ষেপ নিয়েছি।
উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম মো. তারেক মঈনুল ইসলাম ভূঁইয়ার আদালতে মহানগর যুবলীগ উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চলকে প্রধান আসমি করে ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এতে ২৬ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় মামলার দায় থেকে নয়জনকে বাদ দেওয়ার জন্য অব্যাহতির আবেদন করা হয়।