সুন্দরবনের কুখ্যাত বনদস্যু রওশান গ্রেফতার
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, বাগেরহাটঃ সুন্দরবনের কুখ্যাত বনদস্যু সেজো বাহিনীর প্রধান রওশান গাজী ওরফে সোনাকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে কোস্টগার্ড সদস্যরা। মঙ্গলবার ভোরে বাগেরহাটের মংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলাধীন সুন্দরবনসংলগ্ন শিপসা নদীর চর থেকে তাকে আটক করে। এসময় ওই বাহিনীর অপর চার সদস্য দৌড়ে সুন্দরবনে পালিয়ে গেছে। রওশানের স্বীকারোক্তিতে কোস্টগার্ড সদস্যরা নদীর চরে মাটির নিচ থেকে ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১৬ রাউন্ডগুলি ও ৬০টি চকলেটবোমা উদ্ধার করেছে। মংলা কোস্টগার্ড ঘাটিতে রেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গ্রেফতার বাহিনী প্রধান রওশান গাজী ওরফে সোনা খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা গ্রামের মো. আব্দুস সামাদ গাজীর ছেলে। কোস্টগার্ড মংলা পশ্চিম জোনের অপারেশন বিভাগের স্টাফ অফিসার লে. মো. মোজাহিদুর রহমান জানান, সুন্দরবনের কুখ্যাত বনদস্যু সেজো বাহিনীর চার-পাঁচজন সদস্য ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন খবর পেয়ে কোস্টগার্ড সদস্যরা বনসংলগ্ন শিপসা নদীর সোলাদানা এলাকায় অভিযান চালায়। কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে নৌকা ফেলে দস্যুরা দৌড়ে বনে পালানোর চেষ্টা করে। কোস্টগার্ড সদস্যরা ধাওয়া করে সেজো বাহিনীর প্রধান রওশান গাজী ওরফে সোনাকে গেফতার করতে সক্ষম হয়। এসময় অপর দস্যুরা পালিয়ে যায়। তবে অভিযান চলাকালে দস্যুদের সঙ্গে কোস্টগার্ড সদস্যদের কোন ধরনের গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেনি। স্টাফ অফিসার মো. মোজাহিদুর রহমান আরও জানান, রওশানকে জিজ্ঞাসাবাদে তার স্বীকারোক্তিমতে ওই নদীর চরে মাটির নিচ থেকে নয়টি পাইপগান, একটি নালাগান, ১৬ রাউন্ডগুলি ও ৬০টি চকলেটবোমা উদ্ধার করা হয়েছে। আটক বাহিনী প্রধান রওশানকে খুলনার পাইকগাছা থানায় হস্তান্তর ও মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া অপর দস্যুদের আটক করতে বনে অভিযান চালাচ্ছে কোস্টগার্ড সদস্যরা। কোস্টগার্ডের ওই কর্মকর্তার তথ্য মতে, রওশান দীর্ঘদিন ধরে সেজো বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। ওই বাহিনীর সদস্যরা সুন্দরবনে জেলে ও বাওয়ালীদের ট্রলারে ডাকাতি করে আসছে। এছাড়া দস্যুরা জেলে-বাওয়ালীদেরকে অপরহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করছে। ওই বাহিনীর দস্যুদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে বলে কোস্টগার্ডের স্টাফ অফিসার মো. মোজাহিদুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।